যে সব পুরুষদের যৌন ক্ষমতা কম তাঁদের ক্ষেতে ফলের চিকিৎসায় শুক্রবৃদ্ধি হবে ও শরীরের বল বাড়বে । ফলের চিকিৎসা শুরু করার আগে অন্তত দু দিন পর পর চার টেবিল চামচ করে নারিকেলের পানি দিণে চার পাঁচবার খেতে হবে। এতে মূএ নি:সারণের কাজও ভাল হবে এবং কোষ্ঠও পরিষ্কার থাকবে।
তরমুজ বিশেষ করে গরমকালে যখন পাওয়া যায় প্রতিদিন চার থেকে পাঁচবার খেতে পারলে এবং প্রতিবার তরমুজ খাওয়ার পর এক টুকরো মিশ্রি চুষলে প্রস্রাব পরিষ্কার হয় এবং শুক্রবৃদ্ধি পায়। পানি তেষ্টা পেলে পানির বদলে সেই সময় সামান্য চিনি দেওয়া দুধ খাবেন। তালজাতীয় ফল খেলেও শুক্রবৃদ্ধি হয় এবং শরীর তাজা থাকে।
যে সব ক্ষেতে শরীরের তাপ-জনিত কারণে শুক্র ধারন করা ক্ষমতা কমে যায় সেসব ক্ষেএে কমলালেবুর চিকিৎসায় শরীরের তাপ কমবে ও শুক্র ধারণও করা যাবে। কমলালেবুর চিকিৎসায় সময়ে অল্প পরিমাণে হালকা খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। পাঁচটা বড় রসালো মিষ্টি কমলালেবুর রস বের করে নিয়ে দিনে তিনবার খান। যাঁর যেমন সহ্য করবার ক্ষমতা তিনি সেই অনুসারে কমলালেবুর সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারে। বলতে গেলে শুধু কমলালেবু খেয়েও থাকতে পারেন। কমলালেবু যে সময়ে বেশি পাওয়া যায় সেই সময় এক মাস ধরে এই চিকিৎসা চালালে শরীরের তাপজনিত শুক্রের অসুখের উপশম হবে। কমলালেবুর চিকিৎসা বন্ধ করার পর অন্যান্য মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল সব সময়েই নিজের খাওয়ার তালিকায় রাখবেন।
খুব পাকা ও মিষ্টি আঁশযুক্ত আমের রস বের করে সমপরিমান খাঁটি মধু মিশিয়ে খেতে পারলে শরিরের অত্যন্ত বলবৃদ্ধি হবে এবং তার সঙ্গে যৌন শক্তিও বাড়বে। পাঁকা আম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও সমান উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া ফলের মধ্যে তাল জাতীয় ফল,কিসমিস তো এসব ক্ষেতে উপকার দেয়ই। পাকা ডুমুরের উপকারিতাও কম নয়। শুকনো পাকা ডুমুর যদি শুকনো ফল যেমন বাদাম,খেজুর ও মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে আরও উপকার পাওয়া যাবে। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে শুধু শুকনো ডুমুর খাবেন তাতে যৌন দুর্বলতা প্রায় সেরে যাবে।
মিষ্টি জাতের আম,আড়ু,কলা,আপেল,আঙুর এবং খেজুর নিয়মিত খেলে শরীরের সাধারণ শক্তি তো বাড়বেই তার সঙ্গে সঙ্গে,ব্রেন,লিভার,হার্ট ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের জীবনীশক্তিও বাড়বে। যাঁদের যৌনশক্তি কমে গেছে তাঁরা এতে উপকার পাবেন।
যাঁদের যৌন শক্তি খুবই কম তাঁরা প্রতিদিন যদি বাদাম,চিলগোজা,পেস্তা,আখরোট,খোবানি,ভাল জাতের আম,আঙুর,আপেল,জাম,আড়ু,কলা এবং সময়ের ফল নিয়ম করে যতটা সহ্য হবে খাওয়ার অভ্যেস করেন তাহলে তাঁদের হার্ট ও কিডনির উপকার হবে এবং সেই সঙ্গে প্রজনন ক্ষমতাও বাড়বে।
অব্যর্থ পুনযৌবন:
অনেকেরই ধারনা যে মাছ মাংস ডিম খেলে শক্তি বৃদ্ধি হয়-সেটা কিন্তু সব সময়ে ঠিক নয়। আগেই বলা হয়েছে যে মিষ্টি আমের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি তো বাড়বেই এবং যে সব ক্ষেতে মনে হয়েছে যে আর আশা নেই সে সব ক্ষেএেও যৌন শক্তির বৃদ্ধির প্রমান পাওয়া গেছে। আমের সময়ে পাকা আমের রস দুধে মিশিয়ে খাওয়া যার যতটা সহ্য হয় খেলে যৌনশক্তি অবশ্যই বৃদ্ধিপাবে। কোনও মতেই টক আম তাদের পক্ষে খাওয়া ঠিক নয়। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।
আমলকির জ্যাম কিংবা আমলকি পাক বা চ্যবনপ্রাশ নিয়মিত খেলে শুক্র বৃদ্ধি হবে এবং সহবাসের পর যে দৌর্বল্য আসে তাও দূর হবে। সহবাসের আধ ঘন্টা পরে দুধের সঙ্গে আমলকির পাক মিশিয়ে খেলে দুর্বলতা সহজেই দূর হবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top