যারা গাড়ি চালায় তাদের কিছুদিন পর পর গাড়ির ইঞ্জিন অয়েল পাল্টাতে হয়। যদি ঠিক করে রক্ষনণাবেক্ষণ করা না হয় তাহলে গাড়িটি যে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হবে তাই নয়, এটা যাএীদের জন্যে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। গাড়ির মতো অন্য অনেক যন্ত্রপাতিকে খুব ভালো করে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন করতে হয়।
আমাদের খুব সৌভাগ্য যে কম্পিউটারের সে রকম রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় না। তারপরও তোমরা যদি কিছু ছোটখাটো বিষয় লক্ষ রাখ, দেখবে তোমাদের কম্পিউটার দীর্ঘদিন তোমাদের সঙ্গী হয়ে থাকবে।
মনিটর পরিষ্কার: আজকাল বেশির ভাগ কম্পিউটারের মনিটর এলসিডি মনিটর এবং এলসিডি মনিটর তোমাদের পরিষ্কার করার চেষ্টা না করাই ভালো। এর পৃষ্ঠদেশ কাচ নয়। তাই পরিষ্কার করার চেষ্টা করার সময় খুব সহজে দাগ পড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, পরিষ্কার করার সময় ঘষাঘষি করলে মনিটরের ভেতরে পিক্সেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তবে সিআরটি মনিটরে যদি ধুলোবালি পড়ে অপরিষ্কার হয় তাহলে প্রথমে নরম সুতি কাপড় দিয়ে মুছে সেটা পরিষ্কার করতে পার। তারপরও যদি ময়লা থাকে তাহলে নরম সুতি কাপড়টিতে একটু গ্লাস ক্লিনার লাগিয়ে মুছে নিতে পার। যদি গ্লাস ক্লিনার না থাকে তাহলে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ভিনেগার দিয়ে সেটাকে গ্লাস ক্লিনার হিসেবে ব্যবহার করতে পার।
মনে রাখবে, কম্পিউটারে যেকোনো অংশ পরিষ্কার করার সময় কম্পিউটার বন্ধ করে তার বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দিতে হবে।
পানি বা তরল: কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় তার খুব কাছাকাছি পানি বা কোনো ধরণের ড্রিংক না রাখা ভালো। হটাৎ করে হাতে লেগে সেটা যদি তোমরা কম্পিউটারের ওপর পড়ে যায় তাহলে সেটা তোমার কম্পিউটারের ক্ষতি করতে পারে। পানি বা অন্যান্য পানীয় বিদ্যুৎপরিবাহী, কম্পিউটারের ভেতর সেটা ঢুকে গেলে বৈদ্যুতিক সার্কিটগুলোর শর্ট সার্কিট হতে পারে। এরকম কিছু হলে সাথে সাথে কম্পিউটার বন্ধ করে দীর্ঘ সময় একটা ফ্যানের নিচে রেখে দাও যেন পানিটুকু শুকিয়ে যায়।

ধূলোবালি: আমাদের দেশে ধূলোবালি একটু বেশি। কম্পিউটারের ফ্যান যখন বাতাস টেনে নেয় তার সাথে ধুলোবালিও টেনে আনতে পারে, ধুলোবালি জমে যদি বাতাস ঢোকার এবং বের হওয়ার পথগুলো বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কম্পিউটার বেশি গরম হয়ে উঠতে পারে। তাই মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে দেখ সেখানে বেশি ধুলো জমছে কিনা। জমে থাকলে একটু পরিষ্কার করে নিও। তবে নিজে থেকে কম্পিউটার খুলে কখনো তার ভেতরে পরিষ্কার করতে যেয়ো না।

কী-বোর্ড পরিষ্কার: কি-বোর্ডটি মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা ভালো। কারণ, হাতের আঙ্গুল দিয়ে এটা ব্যবহার করা হয় বলে এখানে রাজ্যের রোগজীবাণু জমা হতে পারে! শুকনো নরম সুতি কাপড় দিয়ে কিগুলো মুছে কটন বাড দিয়ে প্রত্যেকটা কির চারপাশ পরিষ্কার করা যায়। তারপর উল্টো করে কয়েকবার হালকা ঝাঁকি দিলে কি-বোর্ডটা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যাবে।



মাউস পরিষ্কার: আজকাল প্রায় সব মাউস অপটিক্যাল মাউস, আলো প্রতিফলিত হয়ে এটা কাজ করে তাই মাউসের লেন্স যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলে মাউস ঠিক করে কাজ নাও করতে পারে। মাউসটি যদি সত্যি সত্যি ধুলোবালি ময়লা জমা হয়ে থাকে তাহলে কম্পিউটার থেকে খুলে নিয়ে সেটা উল্টো করে যেখানে যেখানে ময়লা জমেছে কটন বাড দিয়ে সেটা পরিষ্কার করে নরম সুতি কাপড় দিয়ে মুছে নাও।
08 Oct 2014

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top