ল্যাপটপ  বর্তমান টেকগিকদের অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইসের মধ্যে একটি। কিন্তু দীর্ঘদিনের ব্যবহারে এই ডিভাইসের ভেতরে জমা হওয়া ময়লার কারণে ডিভাউসটি সহজেই অকার্জকর হয়ে যেতে পারে। তাই আজ আমি আমার পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো কিভাবে আপনার ল্যাপটপটি পরিষ্কার করবেন।
ল্যাপটপের ভেতরে জমা হওয়া ময়লার বেশির ভাগইজমা হয়ে থাকে কুলিং ফ্যান,ভেন্টিলেটর এবং হিট স্কিনে। ল্যাপটপের বডি স্ট্রাকচারটি খুব অল্প স্পেসের মধ্যে তৈরি হওয়ায় এর কুলিং ফ্যানের সামান্য অকার্যকরিতার জন্য এর ভেতরের হার্ডওয়্যার গরম  হয়ে ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া কুলিং ফ্যানের মধ্যে ময়লা জমার কারণে এটি  ঘুরতে বেশি ইলেক্টিসিটি ব্যবহার করতে হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ ব্যয় হয় বেশি তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে ল্যাপটপ পরিষ্কার করবেন:
১.ল্যাপটপ খুলে ভেতরে পরিষ্কার করা:
ল্যাপটপের নিচে একটি প্যানেল আছে যা ল্যাপটপের উপরের বডির সাথে অনেকগুলো স্কু দারা যুক্ত থাকে। ল্যাপটপের সাথে থাকা সার্ভিস ম্যানুয়াল দেখে স্কু গুলো বের করে নিচের প্যানেলটি খুলে ফেলুন। এবার আপনাকে মনোযোগ দিয়ে সাবধানে কিছু কাজ করতে হবে।
১.প্রথমে স্কু গুলো গুছিয়ে  একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন।
২.এমন একটি জায়গা বেছে নিন যেখানে ময়লা হলে আপনার ল্যাপটপের সমস্যা হবে না।
৩. এবার একটি  ব্লোয়ার দিয়ে ব্লো করুণ যাতে করে ল্যাপটপের ময়লা গুলো ল্যাপটপের ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। তবে ব্লোয়ারের সাহায্যে ল্যাপটপের কুলার ফ্যানটিকে পরিষ্কার করার সময় বেশি দ্রুত করা যাবে না তাতে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২.ল্যাপটপ না খুলে বাইরে থেকে পরিষ্কার করা:
১.স্প্রে ডাস্টার কিংবা ক্যান এয়ারের মাধ্যমে ভেন্টিলেটরকে টার্গেট করে বাতাসের  ব্লাস্ট দিন। এতে করে ভেন্টিলেটরের কুলিং ফ্যানের ময়লা পরিষ্কার হবে। বিভিন্ন কম্পিউটারের অ্যাস্প্রেসোরিজের দোকানে স্প্রে ডাস্টার পাওয়া যায়।
২.স্প্রে ডাস্টার দিয়ে কীবোর্ডের উপরেও ব্লাস্ট দিন। এতে করে কীবোর্ডের ভেতরে জমা হওয়া ময়লা দূর হবে।
৩.ব্যাটারি খুলে ব্যাটারির ভেতরের প্যানেল এয়ার ব্লাস্ট করুণ,তাতেও কিছুটা ময়লা পরিষ্কার হবে।তবে এভাবে বেশি ময়লা পরিষ্কার হবে না কিন্তু কুলিং ফ্যান এবং ভেন্টিলেটর কিছুটা পরিষ্কার হওয়ায় ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেমটি চেয়ে ভাল কাজ করবে।


এভাবে আপনি আপনার ল্যাপটপটি পরিষ্কার করে নিন।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top