আপনার
শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ হল, আপনার ত্বক। ত্বক আপনার শরীর শুধু ঢেকেই রাখে না,
শরীরকে দেয় সুষমা, দেয় সৌন্দর্য। জীবন্ত এই অঙ্গটি শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলোকে সযতনে
রক্ষা করে রোদের প্রকোপ এবং বিভিন্ন আঘাত থেকে। শরীরের তাপ স্বাভাবিক রাখতেও
ত্বকের সক্রিয় ভূমিকা অনন্য। সে জন্য ত্বকের চাই সঠিক যত্ন। কারণ ত্বকের প্রদাহ
হলে তা যেমন কষ্টকর, তেমনই দেখতেও খারাপ লাগে। ত্বকের যত্ন নেওয়ার আগে ত্বক
সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার।
ত্বকের
পরিচয়
ত্বকের
প্রধান দুটি ভাগ রয়েছে। এর বাইরের অংশের নাম এপিডার্মিস। যাতে আছে বেশ কয়েকটি কোষ
স্তর। যার মধ্যে নিম্নতম স্তরটি নাম ‘মাদার সেল’। এই অংশের কোষগুলো বিভাজিত হয়ে
উপরে উঠে আসে, চ্যাপ্টা হয়ে মারা যায় এবং কেরাটিন-এ পরিবর্তিত হয়ে ঝরে পড়ে। এই
বাহ্যিক স্তরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নিম্নস্তর বা ডার্মিস। ডার্মিস প্রোটিন-ফাইবার
কোলাজেন ও স্থিতিস্থাপক ফাইবার দিয়ে তৈরি। এতে রয়েছে বিভিন্ন গ্রন্থি, রোমের মূল,
শিরি, উপশিরা ও স্নায়ু।
ত্বকের
যত্ন
ত্বক
সম্পর্কে বেশ কিছু জেনেছেন ইতিমধ্যে। এবার ত্বকের যত্নের কথায় আসা যাক। এই পর্যায়ে
পড়ে তিনটি জিনিস: ত্বক পরিষ্কার, ত্বক রক্ষা ও ত্বক পুষ্টি।
ত্বক
পরিষ্কার
এ জন্য
নিয়মিত মুখ গা হাত পা পরিষ্কার করে ধোওয়া দরকার। মুখই দিনে তিনবার ভাল করে
পরিষ্কার করা চাই। অন্তত দিনে দু’বার সকালে ও রাত্রে বিছানায় যাবার আগে ক্লিনজার
দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিত। ক্লিনজার ত্বকের গভীরে ঢুকে ময়লা বের করে আনে। সারা শরীরে
কোমল সাবান অথবা লিকুইড সোপ দিয়ে গোসল করুন। ত্বক যদি খুব তেলতেলে হয়, তাহলে বেসন
দিয়ে শরীর পরিষ্কার করতে পারেন। যাদের ত্বক খুব শুল্ক, তারা বেসনের পরিবর্তে ময়দাও
কাঁচা দুধের সরের মিশ্রন ব্যবহার করবেন। তবে প্রতিদিন এভাবে গোসল করা সম্ভব হলে
সে-ক্ষেত্রে শরীরের জন্য সাবান ও মুখে ক্লিনজার যথেষ্ট। মুখ পরিষ্কারের পর করতে
হবে টোনিং অর্থাৎ ত্বককে উজ্জীবিত করতে। এর জন্য ব্যবহার করুন স্কিন টনিক। যদি
ত্বক হয় স্বাভাবিক বা শুল্ক এবং তেলতেলে ত্বকের ক্ষেত্রে অ্যাসট্রিনজেন্ট। এই
টোনার বা অ্যাসট্রিনজেন্ট স্ফীত লোমকূপ বন্ধ করতে সাহায্য করে।
ত্বক
রক্ষা:
সূর্যের
রশ্মি ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই রশ্মি পোশাক ভেদ করেও ঢুকতে পারে। সানস্ক্রিন
ত্বকের উপর মেখে নিন রোদের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাবেন।
ত্বকের
পুষ্টি সাধন
এর জন্য
নিয়মিত সারা শরীর হ্যান্ড অ্যান্ড বডি লোশন ব্যবহার করবেন এবং মুখে ময়শ্চারইজার
লাগাবেন। সুষম খাদ্য খাবেন। যথেষ্ট ফলমূল,সবজি খাবেন। নিয়মিত ব্যায়াম,যোগাসন করবেন
অথবা প্রতিদিন ১ ঘন্টা হাটবেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন