ভূমি
সংক্রান্ত জটিলতার অন্যতম একটি হলো ভূমির দখল বজায় রাখা। অসাধু দাঙ্গাটে প্রকৃতির
লোকেরা প্রায়ই নিরীহ লোকজনকে জোরপূর্বক বা চাতুরী পন্থায় ভূমি হতে উৎখাত করছে বা
বেদখল করছে। এভাবে ভূমি হতে বেদখল করে কিভাবে দখল পুনরুদ্ধার করবেন তা নিম্নে তুলে
ধরা হলো:
ফৌজদারী
আদালতে মামলা: কোন
ব্যক্তি তার সম্পত্তি হতে অপর কোন ব্যক্তি দ্বারা বেদখল হওয়ার উপক্রম হলে বা বেদখল
হলে বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে বেদখল করার চেষ্টা হতে বিরত
রাখার জন্য বা সম্পত্তিতে ঐ ব্যক্তির প্রবেশ বাতিল করে আদেশ প্রদানের জন্য ১ম
শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারার বিধান অনুসারে মামলা
করতে পারবেন। এ ধরনের মামলা অল্প সময়ের মধ্যেই নিস্পত্তি হয়ে থাকে।
দেওয়ানী
আদালতে মামলা: এ
বিষয়ে “সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭” এর ৯ ধারায় বিধান হলো যিনি ভূমি হতে বেদখল
হয়েছেন তাকে বেদখল হওয়ার তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে দখল পুনরুদ্ধারের দাবিতে দেওয়ানী
আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে মামলা তামাদি দোষে বাতিল
হবে।এভাবে ৯ ধারায় মামলা করে আদালতের মাধ্যমে দখল পুনরুদ্ধার করা যায়। তবে ৯ ধারার
মামলায় স্বত্বের প্রশ্নটি বিচার্য হবে না। ৯ ধারায় মামলার প্রতিকার শুধু দখল
সংক্রান্ত। এমন কি বাদী যদি সম্পত্তিতে নিজের স্বত্ব প্রমানে সমর্থ নাও হন কেবল
বেদখল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দখলে থাকা প্রমান করতে পারেন, তবেই তিনি তার পক্ষে
ডিক্রী পেতে পারেন সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মতে প্রদত্ত ডিক্রী বা
আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার কোন বিধান নেই। তবে মহামান্য হাইকোর্টে রিভিশন
করা যাবে। তবে সম্পত্তিতে যার বৈধ মালিকানা স্বত্ব আছে তিনি কোন কারণে বেদখল হলে,
বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে বা বেদখল হওয়ার বিষয়টি অবহিত হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারা মতে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে সম্পত্তির দখল
পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এ ধারার মামলায় সম্পত্তিতে বাদীর মালিকানা স্বত্ব থাকতে
হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন