‘চারুলতা’র শেষ দৃশ্যের কথা মনে আছে? দুটো হাত কাছাকাছি এসেও মিলল না, একটু ফাঁক থেকে গেল। না বলা কথা বলা হয় শুধু দুটি হাতের ভঙ্গিমায়। রূপচর্চা সাজগোজের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই হাতের কথা আমরা ভুলে যাই। অথচ হাতটাই নজরে আসে বেশি। ভাবুন তো আই-লাইনার,মাসকারা, লিপিস্টিক, ব্লাশ-অন সবই আছে, কিন্তু যখন হাতজোড়া করে নমস্কার জানাচ্ছেন কিংবা করমর্দন করছেন, নজরে এল একজোড়া অযত্নলালিত হাত। এবড়োথেবড়ো নখ, চিপড নেলপালিশ কিংবা পলিশবিহীন ম্যাড়ম্যাড়ে হলদে নখ। কেমন লাগবে? রুচির পরিচয় দেবে কে? তাছাড়া ফ্যাশনেবল হতে গেলে সবসময় তৎপর থাকতে হবে, হালফিরের কেতা-কায়দার জানকারি রাখতে হবে, নিজেকে আপডেট করতে হবে নিরন্তর। তবেই না আপনি হতে পারবেন আজকের নারী।
নেলপালিশ তো সবাই পড়ে। ভাবুন তো শীতের কোনও ইভিনিং পার্টিতেযাচ্ছেন কালো জমিতে আগুন-রঙা পাড়ের শাড়ি, সঙ্গে মানানসই ব্যাকলেস ব্লাউজ। বেরোনোর সময় টাইটা কেমন যেন বর্ণহীন মনে হচ্ছে। অথবা ফুশিয়া পিঙ্ক ট্রাউজার, ম্যাচিং কুর্তি,ক্রকোডাইল-ফ্রন্ট জুতো সবই হল কিন্তু হাতের দিকে তাকিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। হাতটা তেমন গর্জিয়াস দেখাচ্ছে না। জেনে নিন কী করবেন।
চিরাচরিত নেলপালিশ ছাড়াও নখের ওপর আঁকতে পারেন ফুলের নক্সা কিংবা জ্যামিতিক আকৃতি। সাজাতে পারেন ছোট ছোট পাথর, ক্রিস্টালে, নখে পরতে পারেন রিং অথবা স্টাড। মণি-মাণিক্য খচিত রাজমহিষীর অলঙ্কারের গ্র্যানজার। ক্যাট-ওয়াক কিংবা কফিশপ, আপনার জয়জয়কার নিশ্চিত। সিলভার পলিশে সিলভার গ্লিটার, গোল্ডেন পলিশে গোল্ডেন গ্লিটার নখে আনে ধাতব জেল্লা। অ্যাক্রিলিক, জেল, সিল্ক এবং লিনেন-এর টুকরো দিয়ে সাজাতে পারেন আপনার নখকে । বিয়ের সময় পরতে পারেন সোনা অথবা হীরের রিং।পরতে পারেন সেমি-প্রেশাস স্টোন-এর রিং।
অর্নামেন্টাল নেল-ট্যাটুস পাওয়া যায় যা নখের বাহারই শুধু বাড়ায় না, ছোট নখকেও বড় দেখায়। আঁকতে পারেন পছন্দমতো ডটস, ট্রাইপস অথবা স্টারস। বড় নখের ভেতরদিকে সোনালি রং এবং ওপরে লাল পলিশ পরলে দুটি রঙেরই ইফেক্ট পেতে পারেন।
একটা জলভরা পাত্রে আপনার প্রিয় ৩-৪ রঙের পলিশ ঢেলে টুথপিক দিয়ে হাল্কা করে নেনে নিন। আঙুল জলে ডুবিয়ে তুলে নিন। পলিশ শুকিয়ে নিন। ফ্রেঞ্চ, আমেরিকান এবং সুইস ম্যানিকিওর পদ্ধতিতে ট্রান্সপেরেন্ট, গোলাপি ও কনট্রাষ্ট রঙের মায়াজাল বুনতে পারেন আপনার নখে। স্বাভাবিক এবং কৃত্রিম  দু ধরনের নখেই এই শিল্প চলতে পারে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top