যেমন বয়:সন্ধির একটি সমস্যা তেমনই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদেরও! ব্রণ একটি বড় সমস্যা। আপনার ব্রণ নির্মূল করতে সহায়ক হবে যে পদ্ধতি সেটি হলো মুলতানি মাটি,৫টি পলাশ ও ২টি লেবু ফুল বাটা; আধখানা লেবুর রস, ২ চা-চামচ শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে এলে আপেলের রস দিয়ে মুখ ভিজিয়ে, অল্প ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক শীতে ব্যবহারের সময়ে ত্বক যদি বেশি শুকনো হয়ে যায় তাহলে এটির সঙ্গে কমলা লেবু অথবা টমোটোর রস ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি লাগাবার আগে গোলাপ জলে কর্পূর গুলে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। অনেক সময়ে ব্রন খুব বড় হয়ে পেকে যায়। সেক্ষেত্রে পেঁপের আঠা ও গাঁদা ফুলের রস একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের উপরে লাগাবেন।
দাগ বা পিগমেন্টেশনের ক্ষেত্রে এক চা-চামচ চন্দন বাটা,এক চিমটে হলুদ, আধাখানা জায়ফলের গুঁড়ো,গাঁদা, গোলাপ ও কমলালেবুর রস বা আপেলের রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিনিট দশেক মিশ্রণটি মেখে রেখে কাচাঁ দুধে তুলো ভিজিয়ে মুছে নিন। চোখের কালো কালো দাগ বা বলিরেখা দেখা দিলেও আপনি সাহায্য নিতে পারেন ফুলের রসের।
চোখের কাল দাগ:
দুটি পলাশ ফুল ও একটি গোলাপ ফুল কেটে নিন আলুর রসে। এই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা আমন্ডের তেল দিন। মিশ্রণটি চোখের চারপাশে আঙুলের আলতো চাপে কয়েক মিনিট মালিশ করার পরে পনেরো মিনিট রেখে দিন। ভেজা তুলো দিয়ে হাল্কা করে মুছে ফেলুন।
ত্বকের বলি রেখা :
ত্বকে বলিরেখা দেখা দিলে আন্ড তেলে গোলাপ বা লিলি ফুলের পাপড়ি বাটা মিশিয়ে মুখে মালিশ করুন। এরপরে এই প্যাকটি লাগান।আধ চা-চামচ আমন্ড গুঁড়ো,গোলাপের পাপড়ির রস,পাকা কলা ও পাকা পেঁপে চটকে একটি বেল বা জুইঁয়ের রস ও একটি লিলির পাপড়ি বাটা একসঙ্গে মেশান দুধের সর ও কয়েক ফোঁটা আমন্ড বা তিল বেলির সঙ্গে। এই প্যাকটি লাগিয়ে তারপরে অল্প শুকিয়ে গেলে শসার রস দিয়ে ভিজিয়ে অল্প নেড়ে নিন। ঠান্ডা পানিতে মুখের ত্বক ধুয়ে নিন।
পেডিকিওর:
আপনার শরীরে আরো দুটো গুরুত্বপূর্ন অংশে হাত ও পা। হাত পায়ের যত্নে আমরা অনেক সময় অবহেলা করি। কিন্তু এটা ঠিক নয়। সুন্দর হতে হলে আপনাকে হতে হবে সর্বাংগীন সুন্দর। তাই প্রয়োজন হাত ও পায়ের বিশেষ যত্ন। এর জন প্রয়োজন পেডিকিউর ও মেনিকিউর। সৌন্দর্যহানি নিশ্চই ঘটে যদি আপনার পা দুটি পরিচ্ছন্ন, কোমল না হয়। পা সুন্দর করতে প্রথমে গরম পানি ও বেসন দিয়ে পা ধুয়ে নিন। আধ লিটার দুধে গোলাপের পাপড়ি; পোস্ত ফুল দিন। দুধে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। পরে ফুলের পাপড়ি পোস্ত ফুল দিন । দুধে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। পরে ফুলের পাপড়ি দিয়ে পা ঘষাতে খাকুন। এরপরে লেবুর রস ও চিনি দিয়ে পায়ে ঘষতে থাকুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। পায়ের ত্বক খুব শুষ্ক হলে কয়েক ফোঁটা তিল তেল মেশাতে পারেন। এরপরে গোলাপের পাপড়ি বাটা ও অলিভ অয়ের তেলের মিশ্রণ পায়ে ঘষুন। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করার পরে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। এই শীতে পা পরিষ্কার করদতে চিনা বাদামের গুঁড়া এক চামচ, চন্দন ও গাঁদার পাপড়ি রস একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে ঘষতে পারেন। পাঁচ দশ মিনিট বাদে মুছে ফেলুন।
ম্যানিকিওর:
নিয়মিত হাতের যত্ন নেওয়াও প্রত্যেকের উচিত। ১ কাপ দুধে এক চিমটে কাচা হলুদ বাটা মেশান। তাতে লেবু ফুল ও চন্দ্রমল্লিকার পাপড়ি দিন। হাত দুধে ভেজান। পাঁচ দশ মিনিট বাদে পাপড়িগুলো দিয়ে ঘষে নিন। এবারে ম্যাসাজ করুন গোলাপের পাপড়ির রস ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল তেলের মিশ্রণ দিয়ে। শেষে চন্দ্র, কাচাঁ দুধ ও গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে এটি দিয়ে ম্যাসাজ করুন পাঁচ দশ মিনিট তারপর মুছে ফেলুন শুকনো,নরম কাপড় দিয়ে।
সতকর্তা:
রূপচর্চায় ফুল ব্যবহারের সময়ে বাজার থেকে কেনা ফুল ধুয়ে নেবেন। কারণ অনেক সময় ফুলে কীটনাশক ব্যবহারে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। সবচেয়ে ভাল নিজেই বাড়ির ফুলের গাছ লাগান। ফুলে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করবেন না। অজানা ফুল ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ ফুলের রসে ভেষজ গুণ যেমন থাকে তেমনই অনেক ফুলে বিষাক্ত রসও থাকতে পারে যা ত্বকের ক্ষতি করে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top