নাসিকা গর্জন৷ যাকে নিয়ে
আমরা হাসিঠাট্টা করে থাকি৷
সেই নাকডাকা ব্যাপারটা যে কত
ভয়ংকর হতে পারে, তাই
জানালেন জার্মানির গবেষকরা৷ সুস্থ জীবন
যাপনের জন্য আগে এটাকে
বন্ধ করা প্রয়োজন৷
সঙ্গীর নাকডাকার শব্দ থেকে
বাঁচার চেষ্টা
রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা এমন কেন সত্যি হয়না আহা! রবি ঠাকুরের এই কবিতাটি অবশ্যি অন্য কারণে লেখা হয়েছিল৷ কিন্তু এই যে মানুষের বদভ্যাস৷ উদাহরণ, নাক ডাকা, নিঃশ্বাসের শব্দ, শরীর থেকে তৈরি হওয়া আরও কিছু শব্দটব্দ, এসব যদি না থাকত? তাহলে জীবনটা আরও নিরাপদ হত না কী! কিন্তু সেটা সত্যি হয়না৷ আর সেসব ভুলভাল কারণেই প্রতি বছর প্রচুর যুগল, অসংখ্য দম্পতি হারিয়ে ফেলে ভালোবাসা৷ চলে যায় বিচ্ছেদের পথে৷ দেখা দেয় হাজারো দুঃখ বিষাদ, এই জীবনে৷
তারপরেও বিজ্ঞান বলছে, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা মানেই অসুস্থতা, তা কিন্তু নয়৷ বার্লিনের শারিটে ইউনিভার্সিটির স্লিপ মেডিসিন বিভাগের প্রধান গবেষক আলেক্জান্ডার ব্লাউ বেশ দীর্ঘ গবেষণার পর একথা জানিয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই নাকডাকা কোন একটা অসুস্থতার লক্ষণ৷ কিন্তু সব ক্ষেত্রে সেটা বাস্ততবসম্মত নয়৷
কিন্তু ঘুমের মধ্যে কেন ডাকে আমাদের নাক? নাক কান ও গলার সমস্যা নিয়ে জার্মান গবেষণাকেন্দ্র ডিজিএসএম- এর তরফে ইয়ান লোয়লার বলছেন, নাকের হাড়ের গঠনে বিচ্যুতি থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মদ্যপান, নাক ডাকার কারণ এক নয়, বহু৷ সেগুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, যে সমস্ত ব্যক্তির নাক ডাকে বিস্তর পরিমাণে, তাঁদের কিন্তু সতর্ক হওয়া দরকার৷ কারণ, এই নাক ডাকা এমনকি বড়মাপের অসুস্থতাও ডেকে আনতে পারে!
রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা এমন কেন সত্যি হয়না আহা! রবি ঠাকুরের এই কবিতাটি অবশ্যি অন্য কারণে লেখা হয়েছিল৷ কিন্তু এই যে মানুষের বদভ্যাস৷ উদাহরণ, নাক ডাকা, নিঃশ্বাসের শব্দ, শরীর থেকে তৈরি হওয়া আরও কিছু শব্দটব্দ, এসব যদি না থাকত? তাহলে জীবনটা আরও নিরাপদ হত না কী! কিন্তু সেটা সত্যি হয়না৷ আর সেসব ভুলভাল কারণেই প্রতি বছর প্রচুর যুগল, অসংখ্য দম্পতি হারিয়ে ফেলে ভালোবাসা৷ চলে যায় বিচ্ছেদের পথে৷ দেখা দেয় হাজারো দুঃখ বিষাদ, এই জীবনে৷
তারপরেও বিজ্ঞান বলছে, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা মানেই অসুস্থতা, তা কিন্তু নয়৷ বার্লিনের শারিটে ইউনিভার্সিটির স্লিপ মেডিসিন বিভাগের প্রধান গবেষক আলেক্জান্ডার ব্লাউ বেশ দীর্ঘ গবেষণার পর একথা জানিয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই নাকডাকা কোন একটা অসুস্থতার লক্ষণ৷ কিন্তু সব ক্ষেত্রে সেটা বাস্ততবসম্মত নয়৷
কিন্তু ঘুমের মধ্যে কেন ডাকে আমাদের নাক? নাক কান ও গলার সমস্যা নিয়ে জার্মান গবেষণাকেন্দ্র ডিজিএসএম- এর তরফে ইয়ান লোয়লার বলছেন, নাকের হাড়ের গঠনে বিচ্যুতি থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মদ্যপান, নাক ডাকার কারণ এক নয়, বহু৷ সেগুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, যে সমস্ত ব্যক্তির নাক ডাকে বিস্তর পরিমাণে, তাঁদের কিন্তু সতর্ক হওয়া দরকার৷ কারণ, এই নাক ডাকা এমনকি বড়মাপের অসুস্থতাও ডেকে আনতে পারে!
কীভাবে,
নাক ডাকা
থেকে অসুস্থতা?
ডিজিএসএম- এর
গবেষণা বলছে,
যে সব
মানুষ ঘুমের
মধ্যে বিস্তর
পরিমাণে নাক
ডাকায় ভোগেন,
তাঁদের চিকিৎসায়
পরিভাষায় বলা
হয়, ম্যালিগন্যান্ট
স্নোরিং৷ আরও
বিশদে বললে
অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ
আপনিয়া (Obstructive
Sleep Apnea) বা সংক্ষেপে
ওএসএ৷ এই
ওএসএ-র
শিকার যাঁরা,
তাঁদের অনেকেই
ভোগেন হৃদযন্ত্রের
সমস্যায়৷ এঁদের
মধ্যে কারও
যদি থাকে
উচ্চ রক্তচাপ
কিংবা ডায়াবেটিসের
মত রোগ,
তাহলে সমস্যা
আরও বেড়ে
যায়৷ সেক্ষেত্রে
ঘুমের মধ্যে
নাক ডাকতে
ডাকতে অনেক
সময় ত্রিশ
সেকেন্ড পর্যন্ত
কোন অক্সিজেন
শরীরে পৌঁছয়
না সেই
ব্যক্তির৷ রক্তে
কার্বনের পরিমাণ
বাড়তে থাকে৷
সেটা তো
মস্ত এক
জটিলতা৷
এ বিষয়েই সতর্কতা শুনিয়েছে ডিজিএসএম৷ তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা এ ধরণের ওএসএ- তে ভুগছেন, সচরাচর সারারাত নাক ডেকে ঘুমিয়েও পরের দিনটা তাঁরা অবসন্ন বোধ করেন, ঝিমুনি আসে, কাজে ছন্দ পান না৷ তার কারণটাও ওই রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়৷ এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা তাঁদের জন্য জরুরি৷ ডিজিএসএম- এর সেটাই পরামর্শ৷
দেখা গেছে, শিল্পোন্নত দেশগুলিতে শতকরা ৫০ জন পুরুষ আর ৩০ জন মহিলা নিয়মিত নাক ডাকেন ঘুমের সময়ে৷ তাঁদের মধ্যে জটিল নিঃশ্বাসের সমস্যায় ভোগেন ২০ শতাংশ পুরুষ আর ১০ শতাংশ মহিলা৷ এই সমস্যা দূর করার উপায়ও বাতলেছে ডিজিএসএম৷ বলেছে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়াটা জরুরি৷ ঘুমের আগে কোন অবস্থাতেই অ্যালকোহল পান না করা দরকার এবং সেইসঙ্গে চিকিৎসা তো বটেই!
নাসিকা গর্জন নিয়ে অনেক হাসিঠাট্টা করে থাকি আমরা৷ কিন্তু, সে যে এমন সমস্যার খনি, তা কে-ই বা জানত? সুতরাং, আর হাসাহাসি নয়, এবার বরং প্রয়োজন এই নাকডাকা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো৷ কেউ নাক ডাকে, এটা স্রেফ মজার বিষয় নয়৷ এর থেকে অনেক রোগেরও সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই ভালো করে ঘুমোতে চান, সুস্থ হয়ে বাঁচতে চান, তো নাকডাকা আগে কমান৷ এমন একটা ধুয়ো তুলে দেওয়াটা মনে হয় সবার আগে দরকার৷
এ বিষয়েই সতর্কতা শুনিয়েছে ডিজিএসএম৷ তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা এ ধরণের ওএসএ- তে ভুগছেন, সচরাচর সারারাত নাক ডেকে ঘুমিয়েও পরের দিনটা তাঁরা অবসন্ন বোধ করেন, ঝিমুনি আসে, কাজে ছন্দ পান না৷ তার কারণটাও ওই রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়৷ এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা তাঁদের জন্য জরুরি৷ ডিজিএসএম- এর সেটাই পরামর্শ৷
দেখা গেছে, শিল্পোন্নত দেশগুলিতে শতকরা ৫০ জন পুরুষ আর ৩০ জন মহিলা নিয়মিত নাক ডাকেন ঘুমের সময়ে৷ তাঁদের মধ্যে জটিল নিঃশ্বাসের সমস্যায় ভোগেন ২০ শতাংশ পুরুষ আর ১০ শতাংশ মহিলা৷ এই সমস্যা দূর করার উপায়ও বাতলেছে ডিজিএসএম৷ বলেছে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়াটা জরুরি৷ ঘুমের আগে কোন অবস্থাতেই অ্যালকোহল পান না করা দরকার এবং সেইসঙ্গে চিকিৎসা তো বটেই!
নাসিকা গর্জন নিয়ে অনেক হাসিঠাট্টা করে থাকি আমরা৷ কিন্তু, সে যে এমন সমস্যার খনি, তা কে-ই বা জানত? সুতরাং, আর হাসাহাসি নয়, এবার বরং প্রয়োজন এই নাকডাকা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো৷ কেউ নাক ডাকে, এটা স্রেফ মজার বিষয় নয়৷ এর থেকে অনেক রোগেরও সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই ভালো করে ঘুমোতে চান, সুস্থ হয়ে বাঁচতে চান, তো নাকডাকা আগে কমান৷ এমন একটা ধুয়ো তুলে দেওয়াটা মনে হয় সবার আগে দরকার৷
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.