মেদহীন
ও আকর্ষণীয়
ফিগারের আশাবাদী
সবাই।তবে শুধু
তো অঅর
সব কিছু
অর্জন করা
সম্ভব না।
সে জন্য
স্বাস্থ্যকর খাবারের
পাশাপাশি অবশ্যই
দরকার শরীর
চর্চা। আর
সেটা ঘরের
কাজের মাধ্যমেই
কিন্তু করা
সম্ভব।
চলুন
অনলাইন হেল্থ
আপনার ডক্টরের
পক্ষ থেকে
জেনে নিই
কীভাবে মেদহীন
ও আকর্ষণীয়
ফিগার পাবেন?
ঘরের মেঝে মোছাঃ
ঘরের মেঝে মোছাঃ
অথচ ঘরের কাজগুলো যদি নিজেই নিয়ম করে ঠিকমতো করে ফেলা যায়, তাহলে কিন্তু দুটোই সম্ভব৷ অর্থাৎ বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে তা একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকরও হলো, আবার শরীরও সুন্দর হলো। বিশেষ করে মেঝে বা সিঁড়ি পুঁছতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে, ফলে পেটের মেদ সহজেই কমে যায়। নিয়ম করে মেঝে পুঁছলে বা মুছলে পেট মসৃণ হয় আর কোমরের আকারও হয় সুন্দর।
জানালা পরিষ্কারঃ
জানালার
গ্লাস পরিষ্কার
করতে গেলে
হাত বার
বার ওপরে-
নীচে নামাতে
তো হয়ই,
এতে শরীরের
অন্যান্য অঙ্গেরও
নাড়াচাড়া হয়।
কাজেই জানালা
পরিষ্কার হওয়ার
পাশাপাশি হাতের
মাংসপেশী শক্ত
হয় ও
শরীরের বাড়তি
মেদ কমে।
বয়স বাড়ার
সাথে সাথে
অনেকের হাতের
মাংসপেশী খানিকটা
ঝুলে পড়ে,
যা হাতের
এই ব্যায়ামের
মাধ্যমে কমানো
সম্ভব।
দাড়িয়ে ঘরের কাজঃ
আগেকার
দিনে মেয়েরা
রান্না ঘরের
সব কাজ
বসে বসেই
করতো। বসে
কাজ করলে
কেবল একটি
কাজই করা
যায়। কিন্তু
দাড়িয়ে কাজ
করলে একই
সাথে রান্না,
বাসন ধোয়া,
কাটাকুটি এবং
রান্নাঘরের অন্যান্য
কাজও করা
সম্ভব। এতে
খানিকটা হাঁটাহাটির
ফলে পায়েরও
কিছুটা ব্যায়াম
হয় এবং
হাড় শক্ত
থাকে। সঙ্গে
সঙ্গে শরীরের
মেদও জমতে
পারে না
সহজে।
যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখাঃ
শরীরের
সৌন্দর্যে সবচেয়ে
বড় সমস্যা
বা বাধা
মোটা পেট
বা ভুড়ি,
যা খুবই
দ্রুতগতিতে বাড়ে৷
মেঝেতে বসে
কাপড় কাঁচলে
বা আধা
বসা অবস্থায়
কাপড় ধোয়ার
মেসিন ব্যবহার
করলে বা সেটা পরিষ্কার করলে পেটে চাপ পড়ে৷ নিয়মিত এ ধরনের কাজ করলে পেটে চর্বি জমে কম৷ এতে নিজেকে মেদহীন দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, অন্যদিকে যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখার ফলে সেগুলোর আয়ুও বাড়ে৷
করলে বা সেটা পরিষ্কার করলে পেটে চাপ পড়ে৷ নিয়মিত এ ধরনের কাজ করলে পেটে চর্বি জমে কম৷ এতে নিজেকে মেদহীন দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, অন্যদিকে যন্ত্রপাতি পরিষ্কার রাখার ফলে সেগুলোর আয়ুও বাড়ে৷
গাড়ি নিজেই পরিষ্কার করুনঃ
আজকের
ব্যস্ত জীবনে
গাড়ির প্রয়োজন
যেমন অনেক,
তেমনি অনেকের
আবার গাড়ির
সখও কম
নয়! তাই
সখের মূল্যবান
জিনিসটিকে ‘কারওয়াশ’-এ
না দিয়ে
বা ড্রাইভারকে
ধুতে না
বলে নিজেই
ধুয়ে ফেলুন।
এতে গাড়িটাও
ঝকঝকে সুন্দর
হবে, আবার
নিজের শরীরটাও
ফিট থাকবে৷
তখন দেখবেন
যে কোনো
আধুনিক পোশাকে
নিজেকে কেমন
স্মার্ট আর
আকর্ষণীয় লাগছে।
ছোট থেকেই অভ্যাস গড়ে তোলাঃ
এশিয়ার
দেশগুলোতে গৃহিনীরা
‘কাজের লোক’
বা গৃহক্রমী
দিয়ে ঘরের
কাজ করাতেই
বেশি স্বাচ্ছন্দ
বোধ করেন।
যদিও এ
কাজটি করানোও
সবসময় একেবারে
সহজ নয়৷
তবে যাঁরা
কাজের লোক
না রেখে
ছোটবেলা থেকে
ঘরের কাজ
বা নিজের
কাজ নিজে
করায় অভ্যস্ত
হন, তাঁদের
শরীরের গঠন
ছোট থেকেই
হয়ে ওঠে
সুন্দর।
কাজের পর বিশ্রামও চাইঃ
উপুড়
হয়ে বাথটবটি
নিজে হাতে
ভালো করে
পরিষ্কার করতে
যে বেশ
কিছুটা ক্যালোরি
খরচ হবে,
এতে কোনো
সন্দেহ নেই।
স্বাভাবিকভাবেই তারপর
যে কেউ
কিছুটা ক্লান্ত
হয়ে পড়বেন,
তাই না?
ঝকঝকে সুন্দর
বাথটবে পানি
ভর্তি করে
এতে ঢেলে
দিন সুগন্ধী
তরল সাবান।
এবার নেমে
পড়ুন পানিতে৷
আধঘণ্টা পর
পানি থেকে
উঠে শরীরটাকে
মনে হবে
একেবারে হালকা
আর মনটা
দারুণ ফুরফুরে।
ঘরের কাজ করুন, সুন্দর থাকুনঃ
নিয়মিত
যে কোনোভাবে
শরীরচর্চা করলে
অবশ্যই তার
ফল পাওয়া
যায়৷ আর
তাই সুন্দর
ফিগারের ক্ষেত্রেও
এর ব্যতিক্রম
হয় না।
স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার
ব্যাপারে একটু
সচেতনতা আর
পাশাপশি কিছুটা
হাঁটাহাটি বা
বাড়ির কাজই
করে দেবে
যে কেউকে
সুন্দর ফিগারের
অধিকারী।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন