অনেক নারী প্রায়শই কিছু বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন। অভ্যস্থ না হলেও এই ছোট ছোট বিষয়গুলোর দিকে তেমন একটা নজর দেয়া হয়ে উঠে না নারীর। কিন্তু কিছু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় সেই ছোট ছোট বিষয়গুলো বড় হয়ে দেখা দেয় এবং আরো বেশি সমস্যার মুখে ফেলে দেয় মেয়েদের। 

প্রায়শই হিল পরা :
নিজের পা এবং পিঠখানার প্রতি খানিকটা সুবিচার করুন। কেবলমাত্র কোনো উৎসব আয়োজনে হিল পরুন। বর্তমান সময়ে প্রচুর মেয়েরা প্রতিনিয়ত নিজেদের পায়ের জন্য হিল বেছে নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই হিল পরার কারণে বসা বা দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে পার্থক্য আসে, হাড়ের জয়েন্টে চাপ পড়ে এবং একটা সময়ে গিয়ে কোমড়ে ব্যাথা, আর্থ্রাইটিস, পায়ের গোড়ালির সমস্যা এসব পোহাতে হয়। আর পা মচকে যাওয়া বা পড়ে যাওয়ার ভয়তো প্রতিনিয়তই থাকে
সমস্যা সমাধানে : হিল খুব কম সময়ের জন্য পরুন। খেয়াল রাখুন সেটাও যেন . ইঞ্চির বেশি না হয়। কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার সময় ফ্ল্যাট স্যান্ডেল সাথে রাখুন। আর হিল খুব কম সময়ের জন্য পরুন। হিল পরে বেরিয়ে আসার পর পাগুলোকে উষ্ণ পানিতে ডুবিয়ে রেখে বিশ্রাম দিন

ভারী হাতব্যাগ :
মেয়েদের হাতব্যাগের ভার দেখা গেছে গড়ে থেকে কিলো পর্যন্ত হয়ে থাকে। অবাক হচ্ছেন? জানি সেটা প্রয়োজনীয় জিনিসেই ভরপুর কিন্তু এতটা ভারী ব্যাগ আখেরে আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পিঠ, ঘাড় এবং কাঁধের ব্যাথা আপনি এর মধ্যে দিয়ে ডেকে আনছেন নিজের জন্য। এই ভারী ব্যাগ আপনাকে খানিকটা কুঁজোও করে দেবে কিন্তু
সমস্যা সমাধানে: প্রতি এক বা দুই সপ্তাহ পরপর ব্যাগটা পুনরায় গুছিয়ে নিন। সেখানে কেবল জরুরি জিনিসগুলোই রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় ছোট একটি ব্যাগ কিনে নিন তাহলে বাড়তি ওজনের হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাবেন

রাতে মেকাপ না তোলা :
রাতে ফেরার পর খুব টায়ার্ড থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাই বলে মুখ থেকে মেকাপ না তুলে বিছানায় চলে যাওয়াটা খুবই খারাপ অভ্যাস। কারণ সারারাত মেকাপ নানান রকম ত্বকের সমস্যা তৈরি করে। দিন শেষে ত্বকটাকে মেকাপ, ময়লা আর তেলের কবল থেকে মুক্ত করুন। তা না হলে কুঁচকানো ত্বক, ক্লান্ত ত্বক বা ব্রণের সমস্যা দেখা দেবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই। আর চোখে মেকাপ থাকলে সেটা চোখের চুলকানি বা ইনফেকশনও তৈরি করতে পারে
সমস্যা সমাধানে : বিছানার পাশেই মেকাপ রিমোভারের বোতল এবং তুলা রেখে দিন। তাহলে যত ক্লান্তই থাকুন না কেন দেখবেন হাতের কাছে পাচ্ছেন বলে মেকাপ তুলতে তেমন কষ্ট হবে না। 

ইল-ফিটেড অন্তর্বাস :
প্রায় ৬৫ শতাংশ নারীই ভুল সাইজের অন্তর্বাস পরেন। অনেকেই মনে করেন এটা একটা সাধারণ বিষয়। কিন্তু এর কারণে দেখা দিতে পারে নানান রকমের সমস্যা। গলা, পিঠ এমনকি স্তনেও ব্যাথা হতে পারে এর কারণে। হতে পারে ত্বকের সমস্যা, শ্বাস গ্রহণের সমস্যাও। কেবল যে পোশাক দেখতে খারাপ লাগবে তাই নয় আপনাকেও খারাপ দেখাবে এর কারণে
সমস্যা সমাধানে: নিজের পরিমাপটা ঠিকভাবে জানুন। আর নারীর শরীর প্রায়শই পরিবর্তন হয়। তাই বছরে একবার নিজেকে পরিমাপ করা ভালো

অতীত নিয়ে দুশ্চিন্তা :
অতীত অনেক কষ্টের ছিলো সেটা ঠিক। তাই বলে সেটা নিয়ে ভেবে ভেবে নিশ্চয়ই বর্তমান বা ভবিষ্যত নষ্ট করাটা যৌক্তিক নয়। মানসিক চাপ আপনার এনার্জি নষ্ট করে দেবে এবং আরো নানাভাবে আপনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। আর গবেষণা বলে মেয়েরা ছেলেদের থেকে বেশি মানসিক চাপ সম্পর্কিত ডিসঅর্ডারে ভোগে
সমস্যা সমাধানে : আপনি যদি নিজেকে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন মনে করেন। তাহলে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন এর কারণটা কি। সেই সমস্যার গভীরে যান। এটাকি কোনো ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক নাকি শুধুই শরীর সম্পর্কিত? কারণ খুঁজে বের করে সেটা সমাধানে চেষ্টা করুন। কারো সাহায্য প্রয়োজন হলে বলতে দ্বিধা করবেন না

সৌন্দর্য নিয়ে অতিমাত্রায় চিন্তিত :
সৌন্দর্য নিয়ে নারী এবং পুরুষ উভয়েই ভাবেন। কিন্তু পুরুষের চেয়ে নারীরা এই বিষয়ে একটু বেশি প্রভাবিত হয়। ফিগার টিক রাখাটা অনেক সময় তাদের মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। খুব বেশি পরিমাণে ডায়েট, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, কসমেটিক সার্জারি শরীরে অনেক বেশি ক্ষতি করে
সমস্যা সমাধানে : ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলো না হয় এবার ডাস্টবিনেই ফেলুন। নিজের মনের মতো সৌন্দর্যে গড়ে তুলুন নিজের শরীরটা। আর যেটা পেয়েছেন সেটা নিয়েই সুখী থাকার চেষ্টা করুন। দেখবেন জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে উঠছে

অসম্পূর্ণ ঘুম:
প্রতিদিন ৮ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত হচ্ছেতো? নাকি সেটাতেও কৃপণতা করেন রোজ রোজ। তারপর সপ্তাহ শেষে ছুটির দিন এলে ঘুমটা সম্পন্ন করেন। কাঠখোট্টা জীবনযাপন আর ব্যস্ততার ঘাড়ে দায় চাপাবেন না। এই অপর্যাপ্ত ঘুম কেবল যে আপনাকে ম্যাজম্যাজে করে তুলবে তাই নয় বরং জীবনটাকেও করে তুলবে বিষণ্ন। আর কারণে অন্য কোনো সমস্যা যেমন বেশি খেয়ে ফেলা বা হার্টের সমস্যার সম্ভাবনাও থেকে যাবে। ঘুম একটি নারীর রক্তচাপ এবং মানসিক অবস্থাকে পুরুষের চেয়ে বেশি প্রভাবিত করে
সমস্যা সমাধানে: প্রতিদিন একটু আগেই ঘুমোতে যাওয়ার চেষ্টা করুন আর ঠিক সময়েই ঘুম থেকে উঠুন

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top