সেক্স এমন একটি বিষয় যেটি সকলেই জানেন কিন্তু আমাদের দেশের সংস্কৃতি সমাদের কারণে কেউ এগুলি নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করতে পারেন না৷ বাবা-মায়েরাও যেমন বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন এবং যুব সমাজও এবিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেননা৷ সেক্ষেত্রে যেখান থেকে মানুষ শিক্ষালাভ করে থাকেন অর্থাৎ স্কুল সেখানে এবিষয়ে আলোচনা নৈব নৈব চ৷ এর কারণেই কিশোর কিশোরীরা ইন্টারনেটের আশ্রয় নেয় এবং তাদের মধ্যে বেড়ে ওঠে নীল ছবি দেখার প্রবণতা৷ নীল ছবি দেখার প্রবণতা বৃদ্ধির কারণ যেমন প্রমাণিত হয়েছে তেমনই বর্তমানে এটি একটি সামাজিক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ছোটদের মধ্যে নীল ছবি দেখার প্রবণতা কমানোর একমাত্র উপায় হল যৌনশিক্ষা প্রদান৷ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাজিয়া বকার সিদ্দীকি জানিয়েছেন, এটি বাড়ি থেকেই শুরু করা উচিত৷ তিনি জানান, বেশিরভাগ বাবা মায়েরা তাদের সন্তানের সঙ্গে সেক্স নিয়ে আলোচনা করেননা৷ এর একমাত্র কারণ তারা মনে করেন তাদের সন্তান এখনও অনেক ছোট৷ কিন্তু এই ভাবনা একেবারেই ভুল৷ আসলে বাবা মায়ের বুঝে ওঠার আগেই তাদের সন্তান অনেকটাই বড় হয়ে যায়৷ আর এই কারণেই কিশোর কিশোরীদের মধ্যে সেক্সের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়৷
চিকিৎসকেরা মনে করেন, নির্দিষ্ট বয়সের পরেই বাবা মায়েদের তাদের সন্তানের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে আলোচনা করা উচিত৷ বাবা মায়ের অবহেলার কারণেই তাদের সন্তানেরা ইন্টারনেটের জালে ফেঁসে যায় অনেক সময় এর ভুল ব্যবহার করে ফেলে৷
বর্তমানে ইন্টারনেটের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না কিন্তু এর ব্যবহার সীমিত করা যেতেই পারে৷ বাড়িতে সন্তানেরা যদি ইন্টারনেটের ব্যবহার করেন তবে বাবা মায়েরা তাদের অজান্তেই তাদের উপর লক্ষ্য রাখতে পারেন৷ কিন্তু মোবাইলে ইন্টারনেট থাকলে অনেক সময় পুরোপুরি নজর রাখা সম্ভবপর হয় না৷
বাবা মায়েরা কৌশরের প্রথম ধাপেই যদি তাদের সন্তানদের এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানিয়ে দেন তবে তাদের মধ্যে পর্ণ ছবি দেখার প্রবণতা একেবারেই দেখা যাবে না৷ এছাড়াও এই বিষয়ে ফলাফল তাদের জানিয়ে রাখা ভাল যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে তারা কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সেটি ঠিক না ভুল নিজেরাই বুঝতে পারবে৷

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top