ডিম, চকোলেট, সফট ড্রিঙ্কস৷ বাচ্চাদের একেবারে মনপসন্দ খাবার৷ কিন্তু আপনি জানেন কি এরকম অনেক খাবার থেকেই আপনার এবং আপনার বাচ্চাদের অ্যালার্জি হতে পারে৷ স্কিন অ্যালার্জির মত ফুড অ্যালার্জিরও এখন একটা বিশেষ ধরনের সমস্যা৷ এখন শুধু ডিম, চকোলেট, সফট ড্রিঙ্কস থেকেই যে অ্যালার্জি হবে তা বলছি না৷ নানা ধরনের খাবার থেকেই বাচ্চাদের অ্যালার্জি হতে পারে৷ তবে কতগুলো খাবার থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেমন দুধ, ডিম, বাদাম, চকোলেট, গমের তৈরি যে কোনও খাবার, কয়েক ধরনের মাছ, সবজি বা সফট ড্রিঙ্কস৷ বাচ্চাদের কোনও এক ধরনের খাবার থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে, আবার মাল্টিপল ফুডস্টাফ থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে৷ 
ফুড অ্যালার্জি হলে কিরকম সমস্যা হতে পারে এবং তা রোধ করতে কি করবেন তার কিছু সন্ধান দিলাম আমরা৷
কী কী সমস্যা হয়ে থাকে
ফুড অ্যালার্জির লক্ষণগুলো দুরকমের হতে পারে৷ অনেকসময় সামান্য সমস্যা দেখা যায়, আবার কিছুক্ষেত্রে গুরুতর আকার ধারণ করে৷ ফুড অ্যালার্জির সমস্যায় সাধারণত প্রথমে ত্বকের ওপর লাল লাল ্যাশ দেখা যায়, তারপর শুরু হয় চুলকানি৷ চুলকানোর কারণে হাত পা ফুলে যেতে পারে৷ সমস্যা বাড়লে ডায়রিয়া, পেটে ঘনঘন ব্যথা, বমিও হতে পারে৷ গুরুতর আকার নিলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হতে পারে, বাচ্চা শক পেতে পারে৷ মাল্টিপল ফুড অ্যালার্জির সমস্যা থকলে, সেটার ঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো দরকার৷ ছোট থেকে এই বিষয়ে সচেতন না হলে বাচ্চার বিকাশ স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়৷ এর পাশাপাশি ছোট থেকেই রেসপিরেটারি ট্র্যাক্টে নানান রকম সমস্যা হতে পারে৷
প্রতিরোধ করতে কী করবেন?
ফুড অ্যালার্জির সমস্যায় প্রতিরোধই সবথেকে ভাল উপায়৷ যে ধরনের খাবার থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে, সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে৷ তাই মা-বাবা বাচ্চার যিনি দেখাশোনা করেন তাঁদেরকে একটু খেয়াল রাখতে হবে, কোন ধরনের খাবার অ্যালার্জি আছে সেটা জালার সহজ উপায় হল ওরাল ফুড চ্যালেঞ্জ টেস্ট, অর্থাৎ একটা করে সন্দেহভাজন খাবার বাচ্চাকে একদিন করে খাওয়াতে হবে এবং তিন দিন ধরে দেখতে হবে যে শরীরে কোনও অ্যালার্জিক প্রভাব হচ্ছে কি 
না৷ অনেকসময়ই ঠিক কোন খাবার থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে, সেটা বোঝা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে মাল্টিপল হলে৷ আবার কিছুক্ষেত্রে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে ধুলো, সুতির কাপড়ের রোঁয়া থেকেও অ্যালার্জি দেখা যায়৷ তাই কোনও খাবার থেকে অসুবিধে হলেই সচেতন হওয়া দরকার৷ তৎক্ষণাৎ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া শুরু করুন৷ কিছুক্ষেত্রে অ্যালার্জি টেস্ট করতে বলা হয়৷ এতে ঠিক কোন খাবার থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে, আর কতটা গুরুতর হতে পারে, সেটা বোঝা যায়৷ অ্যালার্জি টেস্ট সাধারণত ধরনের হয়- স্কিন প্রিক টেস্ট এবং সেরোলজিকাল টেস্ট৷
এই ভাবেই খেয়াল নিন নিজের এবং আপনার বাচ্চাকেও রাখুন সম্পূর্ণ সুস্হ৷

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top