ফ্লার্ট করার ক্লাসিক উপায়

কথায় বলে, ফ্লার্ট করা একরকমের আর্ট। আর্টে ক্লাস বা আভিজাত্য না থাকলে তা মাঠে মারা যায়। ক্লাসি আর্টের কদর বোঝেন সমঝদাররা। কয়েকজনের ফ্লার্ট বিপরীত লিঙ্গের কাছে চরম হেনস্তা বা মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের দলে পড়বেন না। জেনে নিন ফ্লার্ট করার কয়েকটি হ্যান্ড পিক টিপস-
আলোচনা হোক সব বিষয়ে: ফ্লার্ট করার সময় নাক উঁচু করলে চলবে না। ফ্লার্ট করার সময় ছেলে বা মেয়েটির আলোচনা হোক সব বিষয়ে।

হাসুন, কিন্তু আদেখলাপানা নয়: মনের মানুষটির কাছে মনের কথা খুলে বলতে না পারলেও হাসি হতে পারে আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে ফ্লার্ট করার সময় একটু হেসেই কথা বলুন। ব্যবহার করুন চোখের। মেয়েদের কাছে এ এক মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে।
মিথ্যে প্রশংসা নয়: মেয়েরা বোকা হয় ভাবলে কিন্তু একেবারে ভুল করবেন। তাই কোনও সুন্দরীর সঙ্গে ফ্লার্ট করার সময় মিথ্যে প্রশংসা নয় একদম। যা ভাল লাগছে মন খুলে বলুন। প্রশংসা করুন তাঁর ড্রেসিং সেন্সের। কিন্তু পোশাক আপনার পছন্দ না হলে সহজে বুঝিয়ে দিন আপনার এরকম পোশাক পছন্দ নয়। বুদ্ধিমান হলে আপনার চোখ দেখে বিপরীত দিকের মানুষটি ধরে ফেলবেন যে আপনি মিথ্যে বলছেন।
মনে রাখুন ছোট চোট বিষয়: ধরা যাক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আপনার সঙ্গে আপনার প্রিয় মানুষটির আলাপ হয়েছে। চ্যাটে বেশ কিছুদিন ধরে গল্প হয়েছে আপনাদের। সেই সময় ছেলে বা মেয়েটি যা যা ভাল লাগে বলেছে, ডেটে সেগুলি মনে রাখুন। ছোট ছোট পছন্দ মনে রাখলে মানুষ খুব দ্রুত আপন হতে পারে।
রসবোধ: এটা ছেলেদের ব্রক্ষ্মাস্ত্র হতে পারে। ইন্টারনেট থেকে মজাদার জোকস মুখস্ত করে যান দরকার পড়লে। কিন্তু দয়া করে কফি টেবিলে বসে থাকা আপনার উল্টোদিকের মেয়েটিকে বোর করবেন না। আবার এ কথায় উৎসাহিত হয়ে তাঁকে বস্তাপচা জোক শুনিয়ে বিরক্তও করবেন না। একটা ভারসাম্য বজায় রাখুন। আপনাদের দু’জনের চারদিকের ঘটনা থেকে মজার উপকরণ খুঁজে বার করে সেই নিয়ে হাল্কা মেজাজে কথা চলুক। প্রয়োজন ও চাহিদা বুঝে অ্যাডাল্ট জোকসও বলতে পারেন। একটি দুষ্টুমি না করলে ফ্লার্টিংটাই মাটি।