শীর্ণ শরীর নিয়ে দুঃশ্চিন্তাকারী ছেলে-মেয়েকে গ্রামবাংলায় সহসাই মুরুব্বিরা বলে থাকেন, ‘বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা কর। স্বাস্থ্য ঠেকাতে পারবি না।’ এ কথার রহস্যভেট সম্ভব না হলেও বিয়ের পর বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যে পরিবর্তন আসে।
আর সে পরিবর্তনের আভা বেশি পড়ে স্বাস্থ্যের ওপর। কয়েক মাস বা বছরে লক্ষ্য করা যায় অনেকেই মোটা হয়ে যায়। হঠাৎ স্থুলতা দেখা দেয়। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা হয় না। শুধুমাত্র সুখী দম্পতিদের বেলায়ই এমনটি ঘটে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর টাইম অব ইন্ডিয়া’র।
একেবারে খারাপ কি, বৈবাহিক জীবনে দুঃশ্চিন্তা ও অশান্তির কারণে মুটিয়ে যাওয়ার অশান্তি থেকে মুক্ত থাকতে পারছেন দম্পতিরা।
‘বৈবাহিক জীবনে সন্তুষ্টি ও ওজন বাড়া’ শীর্ষক ওই গবেষণাটি চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস অঙ্গরাজ্যের সাউদার্ন মেথোডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক আঁদ্রে এল মেলৎজারের নেতৃত্বে এক দল বিজ্ঞানী।
গড় পড়তায় যেসব দম্পতি তাদের বৈবাহিক জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট অর্থাৎ ছাড়াছাড়ির কোনো চিন্তা যাদের নেই, তাদের স্বাস্থ্যে অল্প সময়েই স্থুলতা চলে আসে। গবেষণায় এমনটি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আঁদ্রে এল মেলৎজার।
‘উল্টোদিকে যেই জুটি তাদের বিয়ের বিষয়ে তেমন সন্তুষ্ট নয়, তাদের বেলায় ঘটেছে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। তাদের শরীরে মুটিয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে না।’
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো জাতির স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে সেই সমাজের লোকজনের মধ্যে সুস্থ্য সম্পর্কের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এতে আরও বলা হয়েছে,যারা তাদের বিয়ে পরবর্তী জীবন নিয়ে নিশ্চিন্ত, তারা সময়মতো তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়।
‘মুটিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈবাহিক জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির বিষয়টি পরিষ্কার’- বলেন অধ্যাপক মেলৎজার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন