নারীর হস্তমৈথুনের কৌশলের মধ্যে রয়েছে ভালভা তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘর্ষণ করা, বিশেষ করে ভগাঙ্কুরে এই ঘর্ষণ হতে পারে তার অনামিকা বা মধ্যমা আঙুলের দ্বারা কিছুক্ষেত্রে জি-স্পটে ঘর্ষণ সৃষ্টির জন্য যোনিপথে এক বা একাধিক আঙুল প্রবেশ করানো হয় অনেক নারী হস্তমৈথুনের সময় অপর হাতের দ্বারা নিজেদের স্তন স্তনবৃন্তে হাত বুলাতে পছন্দ করেন কারণ এটি যৌন উত্তেজক অঙ্গ উত্তেজনা সৃষ্টিতে এর ভূমিকা রয়েছে আবার কেউ কেউ পায়ু উত্তেজনাও উপভোগ করেন
হস্তমৈথুনের জন্য যোনিপথ পিচ্ছিল করতে অনেকে বাড়তি লুব্রিকেটিং বা তৈলাক্ত পদার্থ ব্যবহার করেন, বিশেষ করে যখন কোনো কিছু প্রবেশ করানো প্রয়োজন হয় কিন্তু এটির ব্যবহার সকল স্থানে প্রচলিত নয় অনেক নারী তাঁদের নিজেদের প্রাকৃতিক লুব্রিকেশনকেই যথেষ্ট বলে মনে করেন

নারীরা প্রধানত যোনি অভ্যন্তরস্থ ভগাঙ্কুর আঙ্গুলের সাহায্যে নাড়াচাড়া করে কামোত্তেজনা প্রশমিত করে থাকে তবে এতে পুরুষের বীর্যপাতের ন্যায় কোনও চরম ঘটনা ঘটে না প্রচীনকালে নারী হস্তমৈথুনের জন্য পোড়ামাটির লিঙ্গ ব্যবহার করতো বলে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে আধুনিক কালে হস্তমৈথুনের সময় যোনি ভগাঙ্কুরকে উত্তেজিত করে তুলতে বিভিন্ন কৃত্রিম বস্তুর সাহায্য নেওয়া হতে পারে যেমন কম্পক দণ্ড (ভাইব্রেটর), কৃত্রিম শিশ্ন (ডিলডো) এবং বেন ওয়া বল
পারস্পরিক হস্তমৈথুন

দুজন পুরুষ একে অন্যের লিঙ্গ নাড়াচাড়া করে বীর্যপাত করিয়ে দিলে একে বলা হয় পারস্পরিক হস্তমৈথুন তেমনি দুজন নারী পরস্পরের যোনিতে হাত তথা অঙ্গুলি চালনা করে রাগমোচন করলে তাও হবে পারস্পরিক হস্তমৈথুন আবার একজন পুরুষ এবং একজন নারী একে অন্যের যোনি লিঙ্গ নাড়াচাড়া করে যথাক্রমে রাগমোচন বীর্যপাত করতে সাহায্য করলে তাকেও পারস্পরিক হস্তমৈথুন বলা হয়ে থাকে যদিও পুরুষ নারীর পারস্পরিক হস্তমৈথুন কিছুটা বিরল ঘটনা কারণ পুরুষ নারী যেহেতু স্বাভাবিকভাবে পরস্পর মৈথুন করতে পারে, তাই তাদের মধ্যে পারস্পরিক হস্তমৈথুন তখনই সম্ভব যখন তারা তাদের রতিক্রিয়াকে একটু অন্যরকমভাবে উপভোগ করতে ইচ্ছুক হয় পারস্পরিক হস্তমৈথুনে যেহেতু দুজন মানুষের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া হয়ে থাকে তাই একে আর স্বকাম বা আত্মকাম বলা চলে না কিন্তু পারস্পরিক হস্তমৈথুন আত্মরতির থেকে বেশি সুখদায়ক আবার মৈথুনের থেকে কম সুখদায়ক বলে মনে করা হয়

হার, বয়স, লিঙ্গ
হস্তমৈথুনের হার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে কারো যৌন ইচ্ছা বা হরমোনের মাত্রা তা যৌন উত্তেজনা, যৌন অভ্যাস, স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে . হাইবি এবং জে. বেকার পরীক্ষা করে দেখেছেন যে কোনো স্থানের সংস্কৃতিও হস্তমৈথুনের হারকে প্রভাবিত করে এছাড়াও হস্তমৈথুনের সাথে কিছু চিকিৎসীয় কারণও জড়িত

মানুষের মধ্যে হস্তমৈথুনের হার নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন রকমের জরিপ গবেষণা হয়েছে আলফ্রেড কিনসের ১৯৫০-এর দশকের এক গবেষণায় বলা যায়, মার্কিন নাগরিকদের মাঝে ৯২% পুরুষ ৬২% নারী তাঁদের জীবনকালে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছেন ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের মানুষের মাঝে করার একটি জরিপেও কাছাকাছি ফলাফল পাওয়া যায় জরিপে দেখা যায় ১৬ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ৯৫% পুরুষ ৭১% নারী তাঁদের জীবনের যে-কোনো সময়ে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছেন সাক্ষাৎকারের চার সপ্তাহ আগে হস্তমৈথুন করেছেন এমন পুরুষের হার ৭১% নারী ৩৭% অপর দিকে ৫৩% পুরুষ ১৮% নারী জানিয়েছেন যে, তাঁরা এই সাক্ষাৎকারের সপ্তাহ আগে হস্তমৈথুন করেছেন

২০০৯ সালে নেদারল্যান্ড অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সাথে যুক্তরাজ্যেও বয়সন্ধি কালীন ছেলে-মেয়েদের কমপক্ষে প্রতিদিন হস্তমৈথুন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয় অর্গাজম বা রাগমোচনকে শরীরের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে শিশু গর্ভবতীর যৌন সংক্রামক রোগের হারের প্রাপ্ত উপাত্ত লক্ষ্য করে, তা কমিয়ে আনতে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়, এবং এটিকে একটি ভালো অভ্যাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top