কাঁচকলা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। এটি
পাকা কলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কাঁচা অবস্থায় গাছ থেকে কাটা বা তোলা হয়। সারাবছর
বাজারে একে পাওয়া যায়। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল-সুসা প্যারাডিসিকা।
পুষ্টিগুন: কাঁচকলা অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে প্রতি ১০০ গ্রামে খাদ্যোপযোগী অংশে আছে-
র্কাবোহাইড্রেট
|
১৪.০ গ্রাম
|
প্রোটিন
|
১.৪ গ্রাম
|
ফ্যাট
|
০.২ গ্রাম
|
আঁশ
|
০.৭ গ্রাম
|
রিবোফ্ল্যাবিন
|
০.২ মিগ্রা.
|
অক্সালিক অ্যাসিড
|
৪৮০ মিগ্রা.
|
লোহা
|
৬.২৭ মিগ্রা.
|
ক্যালসিয়াম
|
১০ মিগ্রা.
|
ফসফরাস
|
২৯ মিগ্রা.
|
পটাশিয়াম
|
১৯৩ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-সি
|
২৪ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-এ
|
৩০ আই, ইউ
|
থায়ামিন
|
.০৫ মিগ্রা.
|
উপকারিতা:
১.একটি কাঁচকলা খোসা সমেত চাক চাক করে কেটে
প্রতি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে ঐ পানি পান করলে কঠিন আমাশয় রোগ
নির্মুল হয়। এইভাবে এক মাস খেতে হবে।
২.পেটের অসুখে, আমাশয় ও রক্ত আমাশয় রোগে
কাঁচকলা সেদ্ধ করে টাটকা টক দইয়ের সঙ্গে মেখে খেলে রোগ সারে।
৩.কলা গাছের শুকনে শেকড় গুড়ো করে অল্প
পরিমানে খেলে পিও রোগ সারে। রক্তালাপতা বা অ্যানিমিয়া রোগেরও এটি একটি মহৌষধ।
৪.অনেকের মতে কলা গাছের শেকড়ের রসের সঙ্গে
ঘি ও চিনি মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের অসুখ বা মেহ রোগ সারে।
৫.কাঁচকলা শুকিয়ে গুঁড়া করে প্রতিদিন অল্প
পরিমানে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যৌন ব্যাধি সারে ও প্রস্রাবের অসুখ সারে।
৬.একেবারে কচি কলাপাতা মিহি করে বেটে দুধ
মিশিয়ে ঘন ক্ষীরের মতো করে খাওয়ালে মেয়েদের প্রদর রোগে উপকার হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন