কচু রক্তপিও দূর
করে, মল রোধ করে, বায়ুর প্রকোপ দূর করে। কচু শীতল, খিদে বাড়ায়, মরীরের বল বৃদ্ধি
করে, মায়েদের স্তনের দুধ বাড়িয়ে দেয়, মলের বেগ কমিয়ে দেয়। কচু বেশী খেলে প্রস্রাব
বেশী হয় কিন্তু সেই সঙ্গে কফও বেড়ে যায়। কচু গাছের শেকড়ে আছে ধাতু বৃদ্ধির শক্তি।
১.কচুপাতা বা
কচুশাক খেলে স্তনের দুধ বাড়ে।
২.কচুপাতা সেদ্ধ
করে বা ভাতে দিয়ে ভাতের সঙ্গে মেখে পরপর তিনদিন খেলে প্রস্রাবের জ্বলা দূর হয়ে
যায়।
৩.কচুশাক পুড়িয়ে
ছাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফোঁড়ায় লাগালে রক্তপড়া বন্ধ হয় এবং ক্ষতও সারে।
৪.শরীরের কোনো
স্থানে কেটে গেলে সেখানে কচুর ডাঁটার আঠা লাগালে রক্তপড়া বন্ধ হয় এবং ক্ষতও সারে।
৫.কচুর ডাঁটা
চেঁছে নিয়ে তার প্রলেপ অর্শ বা যে জায়গায় আঘাতের জন্যে রক্ত জমে আছে সেইখানে
লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
৬.কচুর ডাঁটার
রসে একটু নুন মিশিয়ে শরীরের যে জায়গা ফুলে আছে সেখানে লাগালে ফোলা তাড়াতাড়ি কমে।
৭.কানে পুঁজ হলে
কচুর আঠা দিলে উপকার হয়। তবে কুষ্ঠ,দাদ,পেটের অসুখ,আমাশয়,রক্তপিও প্রভৃতি অসুখে
কচু খাওয়া একে বারেই বারণ। অজীর্ণ রোগে কচু খাওয়া উচিত নয়।
৮.দু চা চামচ
মানকচুর গুঁড়ো অল্প দুধে গুলে খেলে জ্বর, পেটের অসুখ ও পিলের রোগ কমে যায়।
৯.মান কচুর
শুঁঠ,চালের গুড়োতে কিছু দুধ,পানি ও অন্দাজ মতো চিনি দিয়ে পায়েস তৈরী করে খেলে
পেটের অসুখে উপকার দেয়।
১০.অল্প গরম
দুধের সঙ্গে পুরোনো মানকচু শুঁঠ মিশিয়ে খেলে শোথ রোগ ও পিলের রোগ কমে।
১১.মানকচুর ডাটা
আগুনে সেঁকে নিয়ে তার রস কানে দিলে বাচ্চাদের কান পাকা কমে।
১২.পুলটিস লাগিয়ে
ফোড়ার মুখ না হলে মানকচু গাছের পচা ডাঁটা পানি না দিয়ে শুধুই কেটে নিয়ে তার প্রলেপ
ফোড়ায় লাগালে ফোড়া ফেটে গিয়ে পুঁজ ,রক্ত
ইত্যাদি বেরিয়ে যাবে এবং ফোড়া সেরে যাবে।
১৩.মুখের ভেতর ঘা
হলে মানকচু পুড়িয়ে তার ছাই মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন