কথায় বলেপুরুষ মানুষ দুই প্রকার। জীবিত আর বিবাহিত। সত্যিই কি বিয়ের পর পুরুষের সুখ চলে যায়? তাঁদের মন বিষিয়ে ওঠে? কিন্তু উপায় কী। হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞরা বের করেছেন, বিবাহিত কিংবা দাম্পত্য জীবনে কীভাবে সুখে থাকা যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনেসম্পর্কবিশেষজ্ঞ টি তাশিরো বলেছেন, আপনি যদি অসাধারণ কাউকে পেতে চান, তাহলে আপনার জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন হয়ে পড়বে

এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, যদি একটি ঘরের মধ্যে মধ্যম মান, আয়, চেহারা উচ্চতার ১০০ জন পুরুষ থাকেন, তাহলে সেখানে মাত্র ১৩ জন বিবাহযোগ্য পুরুষ পাওয়া যাবে। আর যদি কেউ ওই ১০০ জনের মধ্য থেকে আকর্ষণীয়, ছয় ফুট লম্বা কিংবা ৮৭ হাজার ডলার আয় করা কোনো পুরুষকে খোঁজেন, তাহলে মাত্র একজন পুরুষের দেখা মিলবে। আর কৌতুকবোধসম্পন্ন, দয়ালু, এমনকি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে এমন পুরুষের সন্ধান করা হয়, তাহলে ১০০ জন পুরুষের মধ্যে একজনই পাওয়া অসম্ভব। ভড়কে গেলেন। ভাবছেন কাকে নিয়ে সংসার সাজাবেন? বিবাহিত জীবনে সুখে থাকবেন কীভাবে
তাশিরোর যুক্তি হলোটাকা-পয়সা, সৌন্দর্য বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে পারে না। অন্তত একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। তাঁর মতে, একটি ভালোবাসাময় সুখী বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য সবার মধ্যে যে গুণটি থাকা প্রয়োজন, তা হলোআন্তরিকতা। আন্তরিক বলতে তিনি এমন কাউকে বুঝিয়েছেন, যিনি হবেন বিনীত, নমনীয়, বিশ্বাসযোগ্য, ভালো স্বভাব, সহযোগী মনোভাবাপন্ন, ক্ষমাশীল, উদার ধৈর্যশীল
অন্য আরেক দল গবেষক মনে করে, ভালোবাসাই একজন নারী একজন পুরুষের মাঝে হূদয়ের অটুট বন্ধন তৈরি করে দেয়। তৈরি করে সাংসারিক বন্ধন। ভালোবাসা ব্যতীত কোনো সাংসারিক কিংবা দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না। স্বামী স্ত্রী একে অন্যের পরিপূরক। একজনকে বাদ দিয়ে অন্যজন শূন্য, ফাঁকা

একজন সুন্দর মনের সুন্দর গুণের স্ত্রী সংসারকে তাঁর নিজের আলোয় আলোকিত করে তুলতে পারেন। সাজিয়ে তুলতে পারেন সংসার জীবনকে সুখের স্বর্গীয় বাগানের মতো করে। তবে এই কাজের জন্য দরকার প্রেমিক স্বামীর স্ত্রীর প্রতি ঐকান্তিক মায়া-মমতা সুগভীর ভালোবাসা। এই ভালোবাসা থাকলে দেখবেন, বিবাহিত জীবনে সুখ কাকে বলে!

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top