মদ্যপানে আসক্তি কমাতে:
সেদ্ধ আপেল দিনে তিন চার বার খাওয়ার অভ্যেস করতে পারলে মদ্যপানের আসক্তি তো কমবেই তা ছাড়া যে কোনও উওেজক দ্রব্যের প্রতি আস্তে আস্তে মনে ঘৃনা জন্মাতে শুরু করবে। সেদ্ধ করার অসুবিধে থাকলে কাঁচা আপেলই খাওয়া যেতে পারে- তবে সেদ্ধ করে খেলে বেশি ফলদায়ক হবে।
একই ফল পাওয়া যেতে পারে যদি ফলসা,খেজুর,ডালিম,আমলকি,নারিকেলের শাঁস খাওয়া যায়। ডালিম, ফলসা ও পাতিলেবুর শরবত করে খেলে আরও ভাল হয়               ।
একশিরা রোগে:
এই অসুখে অনেক পুরুষই আজকাল ভোগেন। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া থেকেই এই অসুখের সূএপাত।
এই সব রোগীকে দুধে কিসমিস দিয়ে ফুটিয়ে খেতে হবে। তরকারির মধ্যে আ লু,গাজর ও ডুমুর খুব উপকার দেয়। পানি তেষ্টা পেলে গরম পানি খাওয়া অভ্যেস করতে হবে।
শুকনো কাশিতে:
শুকনো কাশিতে প্রতিদিন সকালে যদি কয়েকটি পাকা আলুচা খেলে এই অসুখ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। জ্বর থাকলেও এতে কমবে। গরম লেগে জ্বর হলে ও খুব তেষ্টা পেলে এই ফল রোগ উপশম করবে। এই ফলটা গরম কালেই পাওয়া যায়। অন্য ঋতুতে টাটকা ফল না পেলে শুকনো আলুবোখরা খেতে পারেন।
কৃমি রোগ:
যাঁরা বেশি মিষ্টি খান তাঁদেরই এই রোগ বেশি হয় এবং এই রোগ থেকে আরও নানা বিধ পীড়াদায়ক অসুখের উৎপওি হয়। অল্প একটু পাকা তালপাতা বা খেজুর পাতা বেটে নিয়ে পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে যদি কিছুদিন খাওয়ানো যেতে পারে তাহলে কৃমি নাশ হবে।
যদি পঁচিশ গ্রাম মতো আখের গুড় এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখা যায় এবং সকালে টয়লেট যাওয়ার আগে এই গুড়-পানি খেয়ে নেওয়া যায় এবং তারপরই এক চা চামচ গুড়ো করা জোয়ান এক গ্লাস পানিতে গুলে নিয়ে খাওয়া যায় তাহলে পায়খানার সঙ্গে সব কৃমি অব্যর্থ ভাবে বেরিয়ে যাবে।এটি কিছুদিন নিয়মিত খেতে হবে।
অর্শ রোগে রক্তপাত:
প্রতিদিন সকালে লবণ দিয়ে জাম খেলে রক্তপাত বন্ধ হবে। পর পর কয়েকটি বছর যে সময় জাম পাওয়া যাবে এই চিকিৎসা করলে অর্শ ও রক্তপাত সেরে যেতে পারে।
অন্য অসুখে জামের চিকিৎসা:
শরীরের জ্বলুনি,লিভার ও প্লীহা বৃদ্ধিতে আগে অর্শের চিকিৎসার ক্ষেতে যেমন বলা হয়েছে সেই রকমভাবেই প্রতিদিন সকালে লবণ দিয়ে জাম খেলে উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যে ফল:
বিকেলে চারটের মধ্যে নিজের সুবিধা মতো সময়ে যখন যে ঋতুতে যে ফল পাওয়া যায় সেই ফল এবং আরও নানাবিধ ফল যতটা খেতে পারবেন ততটা খেয়েনিন। এই ফলের তালিকায় শসা রোজই থাকবে। পাকা পেঁপে,শাঁকা আলু, সবেদা,পেয়ারা,কলা,গরম কালে পাকা আম,লিচু,বর্ষাকালে আনারস,কাঁঠাল, নাশপাতি,শীতকালে কমলালেবু,আপেল প্রভৃতি ফল প্রচুর পরিমানে খান। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই দু গ্লাস পানি খালি পেটে খাবেন। এতে রোজ কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়ে যাবে।


0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top