ছোট বাচ্চাদের তো নানাবিধ অসুখ লেগেই থাকে। মা-বাবা তাড়াতাড়ি ওষধপএ খাওয়াতে শুরু করেন। কোনও কোনও সময় তেতো ওষুধও খাওয়াতে হয় বাচ্চারা খেতে চায় না। অনেক সময় বাচ্চাদের ভোলাবার জন্যে বাজারের মিষ্টি কিনে খাওয়ানো হয়। মিষ্টির বদলে ফল খাওয়ানো অনেক ভাল। বাচ্চারা ফল খেতে ভালবাসে। ভালবাসে এই জন্যে যে অনেক ফলেই টক ও মিষ্টি দুটো স্বাদই এক সঙ্গে পাওয়া যায়।
তাজা এবং শুকনো ফল বাচ্চাদের নানান অসুখে অমৃতের মতো কাজ করে অনেক সময়। তাজা ফলের মধ্যে কমলালেবু,আঙুর,কলা,আপেল,পেয়ারা, মোসম্বি,ডালিম ও শুকনো ফলের মধ্যে বাদামি খাওয়ালে বাচ্চাদের স্বাস্থেরও উন্নতি হবে এবং জীবনীশক্তি বাড়বে।
দুর্বল শিশু: যে সব শিশু মায়ের দুধ পায় না তারা বেশির ভাগই দুর্বল স্বাস্থের হয় এবং তাদের শরীরের ওজনও কম হয়। এই শিশুদের নিয়মিত পাকা কমলালেবুর রস খাওয়ালে শরীর সুস্থ হতে থাকবে এবং নানাবিধ অসুখের হাত থেকে বেঁচে যাবে।
পুষ্টির অভাবে যে সব বাচ্চারা দুর্বল ও রোগা সেই সব বাচ্চাদের প্রতিদিন নিয়ম করে আধখানা থেকে একটা যে রকম খেতে পারবে পাকা কলা খাওয়ালে স্বাস্থের উন্নতি হবে। অবশ্য লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে পেট খারাপ না হয় বা পায়খানা এঁটে না হয়।
শিশুদের ওজন বাড়াতে: গরু বা ছাগলের টাটকা দুধ দুই ভাগ সামান্য গরম পানি এক ভাগ এবং কমলালেবুর রস এক ভাগ মিশিয়ে খাওয়ালে নানা রকম অসুখের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ঠিক এই রকম ভাবে কমলালেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে সমান উপকির পাওয়া যাবে। আস্তে আস্তে বাচ্চার ওজনও বাড়বে।
কমলালেবুর চিকিৎসা:  আমাদের দেশে নিরানব্বই শতাংশ বাচ্চারা শুধু মায়ের দুধ খেয়েই বড় হয়। কিন্তু দু:খের বিষয় শতকরা আশিজন মায়ের বুকে প্রয়োজন মতো দুধ থাকে না। ফলে বহু শিশুরই স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। শিশু বয়স থেকে স্বাস্থ্য খারাপ হলে যে কোনও রোগই হতে পারে। কমলা লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন থাকায় নিয়মিত শিশুর মাকে ও শিশুকে কমলালেবুর রস খাওয়াতে পারলে মায়ের দুধ বাড়বে এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। শীতকালে তো শিশুদের নিয়মিত কমলালেবুর রস বিশেষ করে খাওয়ানো দরকার। এই রস খেলে শিশু সর্দি কাশির আক্রমন থেকেও বাঁচবে।
আঙুরের রস: প্রতিদিন ১ চামচ করে আঙুরের রস খাওয়াতে পারলে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। পেট পরিষ্কার থাকলে অন্য অসুখও কম হবে। এ ছাড়া সকালে বিকালে এক চামচ করে আঙুরের রস খাওয়ালে শিশুদের অকারণে কান্না,ঘ্যানাঘ্যানানি ভাবও কমবে, দাঁত ওঠার সময়েও উপকার পাওয়া যাবে। শরীরে শুকনো ভাব ও শুকনো কাশিও কমবে।
স্কার্ভি ও চর্মরোগ: একদিন অন্তর যদি পাতিলেবুর রস,মধু আর কডলিভার অয়েল ঠিক মতো খাওয়ানো যায় এই রোগে খুব উপকার পাওয়া যাবে।

শিশুদের পেটের গন্ডগোল: শিশুদের পেটের গন্ডগোল লেগেই থাকে। যাঁরা শিশুদের নিয়মিত ফল খাওয়ান তাঁরা পেটের অসুখ হলে শিশুদের সব ফল খেতে দেবেন না। তবে আপেল খাওয়ালে পেটের কোনও গন্ডগোল হবে না। সেদ্ধ করে আপেল খাওয়ালে পেটের অসুখ কমবে। সেই সময় শিশুকে কমলালেবুর রস খেতে দেবেন না-বিশেষ করে টক কমলালেবু নয়ই।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top