টমেটো হল একটি শীতকালীন সবজি। বাজারে টকটকে লাল রঙ্গের টমেটো সকলের
নজর টানে। এটি যেমন পুষ্টিকর তেমনি খেতেও সুস্বাদু বটে। দৈনিক আহারে টমেটো আপনাকে
রাখতেই হবে। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- লাইকোপারসিকন এসকুলেনটাম।
পুষ্টিগুন: পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায় প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী অংশে আছে-
র্কাবোহাইড্রেট
|
৩.৬ গ্রাম
|
প্রোটিন
|
১.৯ গ্রাম
|
ফ্যাট
|
০.১ গ্রাম
|
আঁশ
|
০.৭ গ্রাম
|
রিবোফ্ল্যাবিন
|
০.০১ মিগ্রা.
|
নিকোটিনিক অ্যাসিড
|
০.৪ মিগ্রা.
|
লোহা
|
০.৮ মিগ্রা.
|
ক্যালসিয়াম
|
২০ মিগ্রা.
|
ফসফরাস
|
৩৬ মিগ্রা.
|
পটাশিয়াম
|
১১৪ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-সি
|
৩১ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-এ
|
৩২০ আই, ইউ
|
থায়ামিন
|
.০৭ মিগ্রা.
|
একটি বড় মাপের
পাকা টমেটো থেকে আপনি ১২ ক্যালোরি শক্তি পেতে পারেন।
উপকারিতা:
১. একটি করে
টাটকা পাকা টমেটো দুপুরে ভাত খাওয়ার আগে খোসা ও বীজ সমেত কাঁচা কামরে খেলে এবং
রাতে শোওয়ার আগেও এইভাবে খেলে পুরানো কোষ্টকাঠিন্য কয়েক দিনের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।
২.যাঁদের ওজন কম
তাঁরা যদি খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে প্রতিদিন নিয়ম করে একটা পাকা টমেটো খান তাঁদের ওজন
নিশ্চয়ই বাড়বে।
৩.ফ্যাকাসে
রক্তহীন চেহারার ব্যক্তিদের প্রতিদিন নিয়মিত একটি পাকা টমেটো খাওয়া উচিত এতে রঙ্গে
জৌলুস আসবে ও রক্তকনিকা বাড়বে।
৪. অর্জুন গাছের
ছাল আর চিনি মিশিয়ে টমেটোর রসের অবলেহ তৈরি করে নিয়মিত খেলে বুকের ব্যাথা বা
হার্টের ব্যাথা ও অসুকে উপকার পাওয়া যায়।
৫. পাকা টমেটোর
রসে মধু মিশিয়ে খেলে রক্তপিও এবং রক্তবিকার সেরে যায়।
৬.পাকা টমেটোর এক
কাপ রস প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে অন্তের ভেতরে আটকে
থাকা মল নিষ্কাশিত হয়ে যায় এবং এইভাবে পুরানো কোষ্টকাঠিন্য সেরে যায়।
৭. টমেটোর দু এক
চামচ রস বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানোর আগে খাইয়ে দিলে দুধ তোলা বন্ধ হয়।
৮. এক কাপ ভাল
নারিকেল তেল এবং আধকাপ টমেটোর রস একসঙ্গে মিশিয়ে শরীরে মালিশ করলে এবং তার একটু
পরে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের চুলকানি সারে।
৯. মাথার খুসকিতে
আধকাপ ভাল নারকেল তেলে ১/৪ কাপ টমেটো রস মিশিয়ে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন