নিম হল
বহুবর্ষজীবী গাছ। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- অ্যাজাডি র্যাকটা ইন্ডিকা। নিম গাছে
ফাল্গুন মাসে কচি পাতা এলেই এর কচি পাতা শাক হিসেবে বেগুনের সাথে ভেজে খাওয়া শুরু
হয়। গরম ভাতের সঙ্গে নিম-বেগুন দারুন মানানসই। এছারাও কাঁচকলা,পেঁপে,আলু,বেগুন ও
সজনে ডাঁটার সঙ্গে নিমপাতা মাশিয়ে শুক্তোর ঝোল করেও খেতে পারেন। কচিপাতার তেঁতো
স্বাদ থাকায় এটি শরীরের পক্ষে উপকারী। কচি পাতায় প্রচুর পরিমানে লোহা থাকায় এটি
রক্তাল্পতায় দারুণ কাজ দেয়।
নিমপাতার একটি
নিজস্ব জীবানুনাশক গুন আছে। হাম বসন্ত ও চর্মরোগ সারাতে নিমপাতা দারুণ কার্যকরী।
নিমপাতার রক্ত পরিষ্কারক গুন ও রয়েছে। এছাড়া কৃমি ও পাকস্থলীর সমস্যা এবং
ডায়াবেটিসের মতো রোগে নিয়মিত নিমপাতা শাক হিসেবে খাওয়া অভ্যাস করুন।
উপকারিতা:
১.বসন্তকালে
নিমপাতা ভাজা খেলে হাম বসন্ত ইত্যাদি হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
২.পাকস্থলীর
গন্ডগোলের জন্যে বদহজম হলে অল্প পরিমানে নিম গাছের ছাল গরম পানিতে ভিজিয়ে সকালে
খালি পেটে সেই পানিটা ছেঁকে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩.মাঘমাসের শেষের
দিকে সাতটি নিমপাতা এবং সাতটি মুসুর ডাল একএে চিবিয়ে খেলে বসন্ত রোগ হয় না।
৪.নিমপাতা ও
কাঁচা হলুদ বেটে নিয়মিত গায়ে মাখলে শরীরের চুলকানি সারে এবং শরীরের ঔজ্জল্য বাড়ে।
৫.যাঁরা
ডায়বেটিসে ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন সকালে আট দশটা নিমপাতা চার পাঁচটা গোলমরিচ সহ
চিবিয়ে খেলে এবং খাওয়া দাওয়া সংক্রান্ত সব বিধি-নিষেধ মেনে চললে রক্তে শর্করার
মাএা কমবে।
৬.অল্প পরিমানে নিমপাতার
রস একটু দুধে মিশিয়ে খেলে দৃষ্টি শক্তির উন্নতি হবে এবং অস্পষ্ট বা আবছা দেখা চোখে
উপকার পাওয়া যাবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন