আলু হল একটি কন্দজ সবজি। সারা বছর এটি পাওয়া
যায়। আলু হল কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করা প্রধান সবজি। মাটির নিচে থাকা কন্দে
খাবার জমা হওয়ার ফলে এটি ম্ফীত বা মোটা হয়। আর এই স্ফীত কন্দই হল আলু। এর
বিজ্ঞানসম্মত নাম হল-সোলানাম টিউবারোসাম।
পুষ্টিগুন: আলুর পুষ্টিগুন নেহাত কম নয়। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের কথায় প্রতি ১০০ গ্রাম
খাদ্যেপযোগী আলুতে আছে-
র্কাবোহাইড্রেট
|
২২.৬ গ্রাম
|
প্রোটিন
|
১.৬ গ্রাম
|
ফ্যাট
|
০.১ গ্রাম
|
আঁশ
|
১.৪ গ্রাম
|
রিবোফ্ল্যাবিন
|
০.০১ মিগ্রা.
|
নিকোটিনিক অ্যাসিড
|
১.২ মিগ্রা.
|
লোহা
|
০.৭ মিগ্রা.
|
ক্যালসিয়াম
|
১০ মিগ্রা.
|
ফসফরাস
|
৪০ মিগ্রা.
|
পটাশিয়াম
|
২৪৭ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-সি
|
১৭ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-এ
|
৪০ আই, ইউ
|
থায়ামিন
|
০.১ মিগ্রা.
|
একটি বড় মাপের সেদ্ধ আলু থেকে আমরা থেকে
আমরা প্রায় ২২০ ক্যালোরি শক্তি পেতে পারি।
উপকারিতা: আলু খেলে আমরা তাড়াতাড়ি শক্তি পেতে পারি। আলুতে থাকা ভিটামিন-সি এবং
ভিটামিন-বি আমাদের শরীরের দুর্বলতা সারাতে সাহায্য করে এবং শরীরের ভিতরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আলুতে কোন চর্বি বা ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে, অথচ
আছে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। আলু হার্টের অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য
করে। খোসাসমেত আলু প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম পরিমান ভিটামিন সরবরাহ করতে সক্ষম এবং এটি
শরীরের দৈনিক চাহিদার অর্ধেকটা মেটায়। আলুতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম থাকার জন্য
এটি শরীরের উচ্চ-রক্তচাপ ( হাই-ব্লাড প্রেসার ) কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। আবার
আলুতে এক ধরনের উৎসেচক থাকায় এটি ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। নিয়মিত
আহারের সঙ্গে আলু খেলে প্রসাবের জ্বালা থাকবে না প্রসাবের নিস:সরণ ঠিকমতো হবে।
এছারাও সন্তান প্রসবের পর মায়ের আহারে আলু দিলে স্তনে দুধের পরিমান বাড়বে এবং এতে
শিশু ঠিকমতো মায়ের বুকের দুধ পাবে।
ব্যবহার পদ্ধতি: আহারে আপনি আলুকে সেদ্ধ, ভাজা, ঝোল এবং তরকারি রান্না করে খেতে পারেন। তবে
আলুর উপকারিতা পেতে হলে তেল, ঝাল ও মশলা এড়িয়ে চলবেন।
সাবধানতা: যাঁরা ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন তাঁরা আহারে যতটা পারেন আলু খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন