মুলো প্রতিদিনের আটপৌরে সস্তা তরকারি। সস্তা ও সুলভ বলেই কিন্তু হেলাফেলার নয়- মুলোর অনেক গুন, অনেক রোগ সারাবার ক্ষমতা রয়েছে।
মুলো হল একটি জনপ্রিয় মুলজ সবজি। এটি শীতের ঠিক আগের সময় থেকে বাজারে ওঠে। যদিও বর্ষাকালে এর চাষ হচ্ছে। মাটির নীচে থাকা স্ফীত মূল বা শিকরকেই আমরা মুলো হিসেবে খাই। তবে বেশী দেরী করে মাঠ থেকে তুললে এতে আশঁ বা ছিবড়ে বেশী হয়ে যাবে এবং খাওয়া যাবে না। বলা হয় এ জন্য মাঘ মাসে মুলো খেতে নেই। কেবল নরম শাকসবজি হিসেবে খাবেন খাবেন। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- র‍্যাফানাস স্যাটাইভাস।
পুষ্টিগুন: মুলো কিন্তু একটি পুষ্টিকর সবজি। বাজারে কম দামে এবং খুব সহজেই একে পাওয়া যায়। এর ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী অংশে পাবেন-
       র্কাবোহাইড্রেট
        ৩.৪ গ্রাম              
       প্রোটিন
        ০.৭ গ্রাম
       ফ্যাট
        ০.১ গ্রাম
       আঁশ
        ০.৮ গ্রাম
       লোহা
        ০.৪ মিগ্রা.
       ক্যালসিয়াম
        ৫০ মিগ্রা.
       ফসফরাস
        ২২ মিগ্রা.
       পটাশিয়াম
        ১৩৮ মিগ্রা.
       ভিটামিন-সি
        ১৫ মিগ্রা.
       ভিটামিন-এ
         ০.০ আই, ইউ

উপকারিতা:
১. দুপুর বা রাএিতে গুর-পাক ভোজনের পরে মুলোর রসে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যাথা ও গ্যাস কমে যায়।
২.ভাত,রুটি খাওয়ার সঙ্গে কাঁচামুলো নুন দিয়ে খেলে রুচি বাড়ে।
৩.কচি মুলোর স্যালাড খেলে খিদে বেড়ে যায়।
৪.মুলোর মধ্যে আছে জ্বর সারাবার গুন।
৫.পিলের রোগে পরম উপকারী।
৬.শীতকালে কাঁচা মুলো খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে,খাবার সহজে হজমে হয় এবং শরীরের পুষ্টি হয়।
৭.মুলোর শাক বেশী মাএায় খেলে প্রসাব ও মল পরিষ্কার হয়ে গিয়ে শরীরের গ্লানি বেরিয়ে যায়।
৮.অর্শ রোগীরা মুলোর পাতা বা মুলোর শাকের রস খেলে উপকার পাবেন।
৯.মুলোর চেয়ে মুলোর শাকেরই গুন বেশী। মুলোর শাক সহজে হজম হয় ও খাওয়া দাওয়ায় রুচি বাড়ায়।
১০.মুলোর শাক কাঁচা খেলে পিও বৃদ্ধি পায় কিন্তু ঘিয়ে বা তেলে সাঁতলে নিয়ে শাক রান্না করে খেলে শরীরের পক্ষে সব দিক থেকে উপকারী।
১১.শুকনো মুলোর ঝোল রান্না করে এক ঘন্টা অন্তর আধকাপ করে গরম গরম পান করালে খিঁচুনি সারে।
১২.মুলো আর তিল একসঙ্গে মিশিয়ে বেটে খেলে শরীর ফোলা কমে আর যদি ত্বকের নিচে কোনো কারনে পানি জমে তাও সেরে যায়। মুলোর পাতায় ৫/৬ চামচ রস খাওয়ালেও ফুলা তাড়াতাড়ি কমে যায়।
১৩.শুকনো মুলোর স্যূপ খাওয়ালে এবং শুকনো মুলো একটা কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে তার সেঁক দিলেও অর্শের কষ্টে আরাম পাওয়া যায়।
১৪.মুলো পাতার রসে একটু সোডি-বাই-কার্ব মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয় এবং কোন কারনে প্রস্রাব জমে থাকার কষ্ট দূর হয়।


0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top