কলমী হল একটি জলজ শাক। এর পাতা সমেত কচিডাল শাক হিসেবে খাওয়া যায়। ডাল হল ফাঁপা ও ওজনে হালকা। মুলত: পুকুর,ডোবা ও খাল-বিলেই একে জলজ আগাছা হিসেবে দেখা যায়। কলমীর কদর ও চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর চাষও শুরু হয়ে গেছে। ছায়াযুক্ত ভেজা জমিতে এর চাষ করা যায়। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিকা। কলমীর শাক দারুণ উপকারী।
ক্যালসিয়াম থাকায় এটি হাড়ের গঠনকে মজবুত রাখে। আবার লোহা থাকায় এই শাক খেলে রক্তাল্পতায় ভুগছেন এমন রোগী উপকার পাবেন। আঁশ থাকায় কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সামলায়।

কলমীর ভেষজগুনও আছে। কলমীর শাক খেলে দেহে বসন্ত রোগে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। মায়েদের স্তনে দুধের পরিমান কম থাকলে আহারে কলমী শাক খেতে দিন, দেখবেন এতে স্তনের দুধের উৎপাদন বাড়বে এবং শিশু দুধ পাবে। এছাড়াও হিষ্ট্রিয়া ও মস্তিষ্ক বিচারের মতো রোগের বেলায় কলমী ভীষন উপকারী।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top