এক লোকের ছিল দুটি কুকুর। তাদের একটি শিকারী জাতের। তাই তাকে নিয়ে সে প্রায়ই শিকারে যেত। অন্য কুকুরটি বাড়িতেই থাকতো। ঘুরে ফিরে মনিবের বাড়ি পাহারা দিত। সে ছিল নিতান্তই গৃহপালিত কুকুর। শিকারি কুকুর কিন্তু গৃহপালিত কুকুরকে সহ্য করতে পারত না। কারণ সে শুয়ে বসে কাজ না করে দিন কাটায় আর আরামে প্রভুর দেওয়া খাবার খায়। বনে বাদারে ছুটে তাকে পরিশ্রমের কাজ কিছুই করতে হয় না।
একদিন আর মনের জ্বালা সইতে না পেরে সে গৃহপালিত কুকুরকে ডেকে বলল ওহে তোমাএ কি লজ্জা ঘেন্না বলে কিছু নেই?তোমার ব্যাপার-স্যাপার আমার একদম ভালো লাগছে না।
গৃহপালিত কুকুর অবাক হয়ে জিঙ্গাসা করল কেন ভাই আমি কি জেনে কোন দোষ করে ফেলেছি?
রাগে শিকারি কুকুর বলল, দোষ নয়! বিপদ মাথায় করে বলে রীতিমত হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে আমি শিকার করে আনছি, আর ঘরে বসে তুমি তা খাচ্ছ! এ তো ঠিক নয়। শুনে শিকারী কুকুর বলল, তাই বলো, এ তোমার রাগের কারণ। দেখ ভাই প্রভু যা খেতে দেন, আমি তাই খাই। এতে আমার দোষটা কোথায়? তিনি আমাকে  বাড়ি পাহারার কাজে রেখেছেন, আর অন্যের সংগ্রহ করা খাবার খেতেই শিখিয়েছেন। আমিও তাই করছি। এটা দোষ যদি বলতে চাও, তবে সেটা করছেন আমাদের প্রভু। তোমার কথাগুলো আমাকে না শুনিয়ে তাঁর কাছেই পেশ করা উচিত।

উপদেশ: অভিভাবক ও শিক্ষকের দোষেই সন্তান অলস নিষ্কর্মা হয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top