ধনে পাতা হল
শীতকালীন সবজি। এর পাতা,কচিডাল এমনকি গোটাগাছ সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শীতের
রান্না ধনেপাতা ছাড়া চিন্তা করা যায় না। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল-করিয়েনড্রাম
স্যাটাইভাম।
পুষ্টিগুন: পুষ্টিগুন হিসেবে ধনেপাতার মূল্য নেহাত কম নয়। এর প্রতি ১০০ গ্রাম পাতায়
আছে-
র্কাবোহাইড্রেট
|
৬.৫ গ্রাম
|
প্রোটিন
|
৩.৩ গ্রাম
|
ফ্যাট
|
০.৬ গ্রাম
|
রিবোফ্ল্যাবিন
|
৬০ মিগ্রা.
|
নিকোটিনিক অ্যাসিড
|
০.৮ মিগ্রা.
|
লোহা
|
১০ মিগ্রা.
|
ক্যালসিয়াম
|
১৪০ মিগ্রা.
|
ফসফরাস
|
৬০ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-সি
|
১৩৫ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-এ
|
১০৪৬০ আই, ইউ
|
উপকারিতা:
১.ধনে পাতার রস
খেলে অর্শ থেকে রক্ত পড়া উপশম হয়।
২.ধনে পাতা বেটে
সেই রস পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে সকাল ও সন্ধ্যেবেলা চোখে দিলে
চোখের ব্যাথায় উপকার হয়।
৩.ধনে পাতার রস
বায়ু নাশ করে ও খিদে বাড়িয়ে দেয় সেই জন্যে এই পাতা খেলে শরীর ঝরঝরে বা তরতাজা
থাকে।
৪.বসন্ত রোগে ধনে
পাতার রস চোখে দিলে চোখে বসন্তের গুটি বেরোয় না।
৬.ধনে পাতা
চিবিয়ে সেই পাতা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি দৃঢ় বা মজবুত হয়। ঢিরে মারি শক্ত হয়ে
যায় এবং রক্তপড়া বন্ধ হয়।
সতর্কতা: রান্নায় অত্যাধিক ধনে পাতার ব্যবহার ভাল নয়। বেশি ধনে পাতার রস পেটে গেলে
রতাশক্তি কমে যায়, দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়,মাথা ঘুরতে থাকে, মনে চাঞ্চল্য উপস্থিত হয়
এবং হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। অবশ্য সাধারণ যে পরিমানে ধনে পাতা খাওয়া হয় তাতে এসব
অসুখের আশঙ্কা থাকে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন