গাজর হল একটি মূলজ সবজি। শীতের মৌসুমে বাজারে  একে পাওয়া যায়। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল- ডকাশ ক্যারোটা। গাজর যেমন পুষ্টিকর সবজি তেমন শরীরের জন্য দারুন উপকারী। গাজরের পুষ্টিগুনের কথা আমরা অনেকেই জানি না।
পুষ্টিগুন: পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী গাজরে পাবেন-

       র্কাবোহাইড্রেট
        ১০.৬ গ্রাম            
       প্রোটিন
        ০.৯ গ্রাম
       ফ্যাট
        ০.২ গ্রাম
       আঁশ
        ১.২ গ্রাম
       নিকোটিনিক অ্যাসিড
        ০.৬ মিগ্রা.
       লোহা
        ১.৫ মিগ্রা.
       ক্যালসিয়াম
        ৮০ মিগ্রা.
       ফসফরাস
        ৩০ মিগ্রা.
       পটাশিয়াম
        ১০৮ মিগ্রা.
       ভিটামিন-এ
         ৩১৫০ আই, ইউ
       থায়ামিন
        .০৪ মিগ্রা.

উপকারিতা: গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ আছে। এই ভিটামিন ‘এ’-র অভাবে শরীর ব্যাধিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। শরীরের বৃদ্ধি থেমে যায়- শারীরিক ক্ষমতা কমে যায়। খাদ্য দ্রব্য হজম হতে অনেক দেরি লাগে, চামড়া খসখসে হয়ে যায়-ত্বকের রোগ দেখা দেয়।
১.গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়। শরীরে শক্তির সঞ্চার হয় আর ওজন বাড়ে।
২.শিশুদের গাজরের রস খাওয়ালে দাঁত বেরোতে কোনো কষ্ট হয় না আর দুধও ঠিক মতো হজম হয়।
৩. অর্শ,ক্ষয়রোগ,পিও রোগে গাজর খেলে সুফল পাওয়া যায়। গাজরের রস মস্তিষ্কের পক্ষেও ভাল।
৪.শরীরের পুষ্টি এবং বুদ্ধির বিকাশের জন্য গাজর খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
৫.গাজর খেলে রং ফর্সা হয়, মুখের সৌন্দর্য বাড়ে, কারণ গাজরে আছে রক্ত পরিষ্কার করবার গুন।
৬.গাজরের বীজে পানি মিশিয়ে বেটে পর পর পাঁচ দিন পান করলে মেয়েদের ঋতু প্রাপ্তি হয়।

৭.গাজর সেদ্ধ করে পুলটিস বাঁধলে ক্ষত, ফোঁড়া আর সব রকমের খারাপ ধরণের ঘা সেরে যায়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top