বেগুন হল অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। সারাবছর এটি
পাওয়া যায়। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল-সোলানাম মেলোনজেলা।
পুষ্টিগুন: বেগুন হল পুষ্টিগুন সম্পন্ন সবজি। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায় ১০০ গ্রাম
খাদ্যপযোগী অংশে আছে-
র্কাবোহাইড্রেট
|
৪ গ্রাম
|
প্রোটিন
|
১.৪ গ্রাম
|
ফ্যাট
|
০.৩ গ্রাম
|
আঁশ
|
১.৩ গ্রাম
|
রিবোফ্ল্যাবিন
|
০.১১ মিগ্রা.
|
নিকোটিনিক অ্যাসিড
|
০.৯ মিগ্রা.
|
লোহা
|
০.৯ মিগ্রা.
|
ক্যালসিয়াম
|
১৮ মিগ্রা.
|
ফসফরাস
|
৪৭ মিগ্রা.
|
পটাশিয়াম
|
২০০ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-সি
|
১২ মিগ্রা.
|
ভিটামিন-এ
|
১২৪ আই, ইউ
|
উপকারিতা:
১.যাঁদের ঘুম ভাল হয় না তাঁরা যদি একটু
বেগুন পোড়ায় মধু মিশিয়ে সন্ধ্যাবেলা চেটে খান তাহলে তাঁদের রাওিরে ভালঘুম হবে।
২.কচি বেগুন পুড়িয়ে রোজ সকালে খালি পেটে
একটু গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার দরুন লিভার বেড়ে যাওয়া কমে যায়। লিভারের দোষের
জন্যে চেহারায় হলদেটে ভাব এলে তা ক্রমশ দূর হয়ে যায়।
৩.বেগুনের তরকারি, বেগুন পোড়া, বেগুনের
সু্পে রোজ যদি একটু হিং ও রসুন মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে বায়ুর প্রকোপ তো কমেই,যদি
কারো পেটে বায়ু গোলকের সৃষ্টি হয়ে থাকে সেটাও কমে যায়।
৪.মহিলাদের নিয়মিত ঋতু না হলে বা কোন কারণে
ঋতু বন্ধ হয়ে গেলে, তারা যদি শীতকালে নিয়ম করে বেগুনের তরকারি, বাজরার রুটি এবং
গুড় খান তাহলে উপকার পাবেন। অবশ্য যাঁদের শরীরে গরমের ধাত বেশী তাদের পক্ষে এটা না
খাওয়াই ভাল।
৫.নিয়মিত বেগুন খেলে মূএকৃচ্ছতা সারে।
৬.প্রসাব পরিষ্কার হওয়ায় প্রারম্ভিক অবস্থায়
কিডনির ছোট পাথরও গলে গিয়ে প্রসাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
৭.ছোট ছোট গোল গোল সাদা বেগুন অর্শের পক্ষে
উপকারী।
৮.বেগুনের পুলটিস বাধঁলে ফোঁড়া তাড়াতাড়ি
পেকে যায়।
৯.বেগুনের রস খেলে ধুতরার বিষ নেমে যায়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন