চোখের দোষ বাচ্চা বয়স থেকে শুরু করে বুড়ো
বয়স পর্যন্ত যে কোনও বয়সেই ঘটতে পারে। ফলের সাহায্য এই দোষ অনেকটা দূর করা যায়।
কারণ ফলের মধ্যে ভিটামিন এ বি সি ডি সব কটাই আছে, যেগুলো চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখার
জন্য খুবই প্রয়োজন। ফল প্রচুর পরিমানে আমাদের দেশে জন্মায়। দামের প্রশ্ন উঠল ফলকে
দুই শ্রেনীতে ভাগ করা যায় সস্তা এবং দামি। ফল সস্তা দামেরই হোক বা দামি দুটোই
কিন্তু চোখের পক্ষে সমান উপকারী। সস্তা ফলের মধ্যে যেমন ধেরে নেওয়া যায়
গাজর,শসা,পেঁয়াজ,মুলো এগুলো কি ফল? কিন্তু এগুলো ফলের মতোই কাঁচা খাওয়া যায়-রান্না
করে খেলে ফল সবজির অনেক গুন নষ্ট হয়ে যায়। সেইজন্যে যে সব তরকারি কাঁচাই খাওয়া যায়
সেগুলোকে ফল বলেই ধরে নেওয়া যাক। দামি ফলের মধ্যে আছে কমলালেবু, কলা,
পেঁপে,আঙুর,আপেল ইত্যাদি। এই সব ফলগুলো যার যেমন সামর্থ্য নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি
ভাল থাকবে।
দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা:
টাটকা এবং শুকনো ফল চোখের দৃষ্টিশক্তি
বাড়িয়ে তোলে। এই সব ফল মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের শক্তি বাড়িয়ে তোলে যার ফলে চোখের
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়। শুকনো ফলের মধ্যে সবচেয়ে ভাল হল বাদাম। প্রতি রাতে সাতটা
করে বাদাম দশ গ্রাম মিছরির সঙ্গে খেলে চোখ ভাল থাকবে ও চোখের পানি পড়ার অস্বস্তিকর
অসুখটাও সারবে। চশমার ব্যবহারও বাদ দেওয়া যায় যদি নিয়মিত রাতে সাতটা বাদাম,ছয়
গ্রাম মৌরি এবং ছয় গ্রাম মিছরি একসঙ্গে গুঁড়ো করে দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
প্রতি রাতে এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে চশমার প্রয়োজন কমবে এবং মস্তিষ্কের কোনও
দুর্বলতা থাকলে সেটাও সারবে।
অতএব চোখ ভাল রাখতে হলে নিয়মিত আপনার
বাজেটের মধ্যে কুলোয় এই রকম ফল-সবজি তা শসা,মুলো,গাজর,পেঁয়াজ,পেয়ারা বা তরমুজই
হোক, কিংবা কমলালেবু,কলা,আঙুর,পেঁপে,আপেলই হোক খাওয়া অভ্যাস করুণ। কথায় বলে
চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়। সেই কথাটা মনে রাখবেন সব সময়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন