ডায়াবেটিস বা মধুমেহ মানে প্রস্রাবের সঙ্গে শর্করা বেরিয়ে যাওয়া। স্ত্রূ পুরুষ সকলেরই এই রোগ হতে পারে। এই রোগের মূল উৎস কিন্তু লিভার। লিভার যদি ঠিক মতো কাজ না করে  ও অলস হয়ে পড়ে অর্থাৎ মন্থর গতিতে কাজ করে তাহলেই শরীরের গ্লুকোজ রক্তের সঙ্গে মিশে যেতে পারে ও লিভারে জমতে থাকে। শরীরের বাড়তি গ্লুকোজ প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে যেতে পারে ও লিভারে জমতে থাকে। শরীরের বাড়তি গ্লুকোজ প্রস্রাবের সঙ্গে বেরোতে থাকে।
দেখা যায় অকেজো লিভার থেকেই এই অসুখের সূএপাত। আবার প্যানক্রিয়াস,হার্ট,ব্রেন এবং কিডনির অসুখ থাকলে এই অসুখের আক্রমন তাড়াতাড়ি ঘটে। প্যানক্রিয়াস থেকে একরকম হর্মোন বেরোয় যাকে ইনসুলিন বলে। এই ইনসুলিন শরীরে কমে গেলে শরীরে শর্করাজাতীয় খাদ্যদ্রব্য ধারণ করবার ক্ষমতা কমে যায় ও শেষ পর্যন্ত তা রক্তে মিশে যায় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তা হরে দেখা যাচ্ছে শরীরে ইনসুলিন কমে গেলেই ডায়াবেটিস হয়। শরীরের জোর কমতে থাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে রোগী রোগাও হয়ে যায়। এর থেকে আরও অণ্যান্য অসুখও করে।
এই রোগের চিকিৎসা হল রোগীকে ইনসুলিন ইঞ্জেকশান দেওয়া এবং ডায়াবোলিন ট্যাবলেট খাওয়ানো।
ফল দিয়ে চিকিৎসার পদ্ধতি:
ধৈর্য সহকারে ফল খাওয়ানোর চিকিৎসা করতে পারলে নিশ্চই উপকার পাওয়া যাবে। এক সপ্তাহ ধরে পাকস্থলী ও অন্ত্রের মল জোলাপ খেয়ে পরিষ্কার করে নেওয়ার পর পাকা পেঁপে এবং পেয়ারা খাওয়া শুরু করুন। প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়ায় বিধি নিষেধ মানতে হবে যেমন যব ও বেসনের তৈরি রুটি এবং তার সঙ্গে কাঁচা পেঁপে,করলা ও পটোলের তরকারি।
কাঁচা পেঁপে ও পাকা পেঁপে দুটিই খুবই বলদায়ক ও উপকারী । পেঁপে খাবার হজমও করায় এবং কোষ্ঠ পরিষ্কারও করে। কাঁচা পেঁপের দুধও খুব উপকারী। এক ফোঁটা কাঁচা পেঁপের দুধ প্রায় তিন শো গ্রেন স্টার্চ হজম করায়।
কমলালেবু,আম,আঙুর,ডালিম,জাম এই সব ফলের রস প্রতিদিন সকাল-বিকাল খাওয়া খুব দরকার। জামের রস তো এই অসুখে খুবই উপকারী।
শীতকালে ডালিম,পেয়ারা,চিলগোজ, এবং বর্ষাকালে জাম খেলে উপকার পাওয়া যায়।
জামের চিকিৎসা: বর্ষাকালে জাম প্রচুর পাওয়া যায়। এই ফলের উপকারিতা সকলের হয়তো জানা নেই। এই ফলে প্রচুর আয়রণ আছে। জামের বিচি শুকিয়ে মিহি পাউডারের মতো গুঁড়ো করে নেবেন। প্রতিদিন এ্‌ই পাউডার অসুখের গুরুত্ব অনুযায়ী তিন থেকে চার বার করে তিন গ্রাম মাএআয় পানির সঙ্গে মিশিয়ে দশ থেকে পনেরো দিন খেলে অসুখ কমবে এবং রোগী দু মাসে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেতে পারে।

জামের রস অত্যন্ত উপকারী। ঔষধের দোকানে জামের রসের এক্সট্র্যাক্ট কিনতে পাওয়া যায়। এর ডাক্তারি নাম ‘জ্যাম্বোলানি এক্সট্র্যাক্ট’। দিনে আট দশ ফোঁটা করে তিনবার পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে প্রকৃত উপকার পাওয়া যাবে। এই ওষুধ যতদিন খাওয়া হবে ততদিন বিশেষভাবে খাওয়া-দাওয়ার ধারাকাট করতে হবে। ভাত,আলু,মিষ্টি না খাওয়াই ভাল। রুটি মুগের ডাল ও পালং শাক বেশি করে খাবেন।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top